Advertisement
E-Paper

মিঠুনের সভায় পড়ুয়ারা, বিতর্ক

মিঠুনের সভায় স্কুলের পোশাকে কয়েকশো ছাত্রীর উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক বাধল। বুধবার বহরমপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনের সমর্থনে নওদা বিধানসভা এলাকার শ্যামনগর হাইস্কুল মাঠে তৃণমূল ওই সভার আয়োজন করেছিল। গত ২ মে থেকে স্কুলে গ্রীষ্মকালিন ছুটি চলছে। ফলে সভার জন্য মাঠ ছেড়ে দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আপত্তি করেননি। সভায় হাজির ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র, উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা, বিধায়ক নির্মল মাজি, প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর, নিয়ামত শেখ, জ্যোৎস্না সেন-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৪ ০০:২৭
নওদায় সভায় পড়ুয়ারা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

নওদায় সভায় পড়ুয়ারা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

মিঠুনের সভায় স্কুলের পোশাকে কয়েকশো ছাত্রীর উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক বাধল।

বুধবার বহরমপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনের সমর্থনে নওদা বিধানসভা এলাকার শ্যামনগর হাইস্কুল মাঠে তৃণমূল ওই সভার আয়োজন করেছিল। গত ২ মে থেকে স্কুলে গ্রীষ্মকালিন ছুটি চলছে। ফলে সভার জন্য মাঠ ছেড়ে দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আপত্তি করেননি। সভায় হাজির ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র, উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা, বিধায়ক নির্মল মাজি, প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর, নিয়ামত শেখ, জ্যোৎস্না সেন-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু ভিড়টা ছিল রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীকে চোখের দেখা দেখতে। ভিড়ের মধ্যে মঞ্চের ঠিক ডান দিকের জায়গা দখল করে বসে ছিল শ্যামনগর হাইস্কুলের কয়েকশো ছাত্রী। পরনে স্কুলের পোশাক নীল পাড় সাদা শাড়ি। প্রত্যেকের মাথায় ছিল তৃণমূলের প্রতীক আঁকা টুপি। শাড়িতে আঁটা ছিল ‘স্বেচ্ছাসেবক’ লেখা ব্যাজ।

অভিযোগ, স্কুল পোশাক পরে সভায় হাজির থাকার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এলাকায় প্রচার করেছিলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শমীক মণ্ডল বলেন, “ওই সভায় কয়েকশো ছাত্রী গিয়েছিল বলে শুনেছি। তবে ওই ছাত্রীদের কোনও দোষ নেই। মঞ্চের কাছ থেকে মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে হবে বলে তাদের স্কুল ড্রেস পরে যাওয়ার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব প্রচার চালান।” শমীকবাবু সিপিএমের নওদা জোনাল কমিটির সম্পাদকও বটে। তাঁর অভিযোগ, “এর আগে গত ২৯ এপ্রিল নওদায় ইন্দ্রনীল সেনের রোড-শো ছিল। ওই রোড-শোয়ে এলাকার আশাকর্মীদের ইউনিফর্ম পরে হাজির থাকার নির্দেশ জারি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে তারা ওই নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়।”

কংগ্রেস অবশ্য বিষয়টি আমল দিতে রাজি নয়। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক আবু তাহের খান বলেন, “তৃণমূলের সংগঠন বলে তো কিছুই নেই। তাই স্কুল ইউনিফর্ম পরে ওই সভায় হাজির হলে মঞ্চের খুব কাছ থেকে মিঠুনকে দেখার সুযোগ করে দেওয়া কথা বলে ছাত্রীদের নিয়ে গিয়ে সভা ভরানো হয়েছে। ফলে আমরা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না। যাদের অস্তিত্বই বিলুপ্ত, তাদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের আলোয় এনে কী লাভ!”

বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, “সভার মাঠ কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল। পাঁচ থেকে সাত হাজার শুধু মহিলা মাঠে হাজির ছিলেন। নীল-সাদা শাড়ি পরে কিছু ছাত্রী হাজির ছিলেন। তবে দলের পক্ষ থেকে তাদের হাজির করানোর কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।”

controversy students convention mithun chakraborty's convention mithun chakraborty
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy