Advertisement
২৩ মে ২০২৪

স্কুলে তাণ্ডব বহিরাগতদের

দুই ছাত্রের গোলমালকে ঘিরে স্কুলের ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালাল একদল বহিরাগত। সোমবার দুপুরে বেলডাঙার শ্রীশচন্দ্র বিদ্যাপীঠে বাঁশ, লাঠি, ইট দিয়ে ভাঙচুর চালায় তারা। চড়াও হয় প্রধান শিক্ষকের উপরও। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মোটর বাইকে অন্য গাড়ির চাবি ঢুকিয়ে খোলার চেষ্টা করছিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। এই নিয়ে দু’পক্ষের বচসার শুরু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বেলডাঙা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩৯
Share: Save:

দুই ছাত্রের গোলমালকে ঘিরে স্কুলের ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালাল একদল বহিরাগত। সোমবার দুপুরে বেলডাঙার শ্রীশচন্দ্র বিদ্যাপীঠে বাঁশ, লাঠি, ইট দিয়ে ভাঙচুর চালায় তারা। চড়াও হয় প্রধান শিক্ষকের উপরও। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মোটর বাইকে অন্য গাড়ির চাবি ঢুকিয়ে খোলার চেষ্টা করছিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। এই নিয়ে দু’পক্ষের বচসার শুরু। তা গড়ায় হাতাহাতিতেও। সে দিনের মতো সব কিছু মিটে গেলেও সোমবার আবার বচসায় জড়ায় দু’পক্ষ।

স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এ দিন একটি ক্লাস হওয়ার পরই শুক্রবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ছাত্ররা। মাথায় আঘাত লাগে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তাহাবুল শেখের। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে। এই সময় ছাত্রদের সাহায্য নিয়ে আট-দশ জন বহিরাগত ঢুকে পড়ে স্কুলের ভিতরে। শিক্ষকদের বসার ঘরে তারা ব্যপক ভাঙচুর চালায়। তারপরই বাঁশ, লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে প্রধান শিক্ষক বলরাম হালদারকে। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে ভেঙে যায় প্রধান শিক্ষকের ঘরের কাঠের দরজা।

অন্যান্য শিক্ষকরা কোনও রকমে ঘিরে ধরে রক্ষা করেন প্রধান শিক্ষককে। ধাক্কাধাক্কিতে আহত হন এক শিক্ষকও। প্রধান শিক্ষক বলরাম হালদার বলেন, “বহিরাগতদের প্রত্যক্ষ মদতে স্কুলে ভাঙচুর চালান হয়েছে। এমনকী আমাকে প্রাণে মারার উপক্রম করছিল। পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”

কিন্তু ছাত্র ও শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ শিক্ষক মহলেই লুকিয়ে রয়েছে এই সংঘর্ষের বীজ। তাঁদের মতে, শিক্ষকদের দু’টি গোষ্ঠীর মতবিরোধের জেরেই এই ঘটনা। দু’টি পক্ষের প্রচ্ছন্ন মদতে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। স্কুলের সহকারী শিক্ষক কুণাল সাহা বলেন, “শিক্ষকদের মধ্যে একতা থাকলে এমন ঘটনা কখনই ঘটতে পারত না।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক চন্দন দাস বলেন, “শিক্ষকদের মধ্যে মতের অমিল আছে। কিন্তু শিক্ষকরা একমত না হলে ১১০০ ছাত্রছাত্রীকে সামলানো যাবে না। আগামী দিনে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”

এদিকে, আহত ছাত্র তাহাবুল শেখের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বহরমপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

school rampage beldanga
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE