নিয়মিত সরবরাহ হচ্ছে না নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প। ফলে রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অন্য দিকে, স্ট্যাম্প বিক্রেতাদেরও হয়রান হচ্ছে বলে দাবি মুর্শিদাবাদ জেলা স্ট্যাম্প ভেন্ডার অ্যাসোসিয়েশনের। তাঁদের অভিযোগ আগে কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার পর দিনই স্ট্যাম্প পাওয়া যেত। এখন কখনও ১০ দিন ১৫ দিন বা তারও বেশি সময় লাগছে স্ট্যাম্প হাতে পেতে। বহরমপুর-১ নম্বর কোষাগার থেকে আগে নিয়মিত এই স্ট্যাম্প সরবরাহ করা হলেও বছর খানেক ধরে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার তাঁরা জেলা প্রশাসন থেকে কোষাগারের আধিকারিকদের কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু তাতেও ফল হয়নি।
বহরমপুর-১ নম্বর কোষাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ‘হোস্ট-বেস’ পদ্ধতিতে ওই কাজ করা হত। কিন্তু বর্তমানে অনলাইন পদ্ধতি চালু করার জন্য ‘ওয়েব-বেস’ পদ্ধতিতে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে এই পদ্ধতির যাঁতাকলে পড়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে বর্তমানে আবারও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্ট্যাম্প দেওয়ার কাজ শুর হচ্ছে। ফলে কিছু দিনের মধ্যে সমস্যা মিটবে বলে আশ্বাস।
সব কিছু ঠিক থাকলেও রেজিস্ট্রি করতে এসে কেবল স্ট্যাম্প না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতা বা বিক্রেতাকে। ডোমকলের বাসিন্দা আমিলুল হকের বক্তব্য, “কিছুদিন আগে একটি জমি রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। বিক্রেতারা কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে বসবাস করায় কিছুদিন ছুটি নিয়ে গ্রামে ফেরে। কিন্তু ওই সময়ে স্ট্যাম্প না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।”
ডোমকলের স্ট্যাম্প ভেন্ডার তপন কুমার মণ্ডলের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার পরেও নিয়মিত স্ট্যাম্প মিলছে না। জেলা প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।” ডোমকল রেজিস্ট্রি অফিসের অতিরিক্ত জেলা অবর নিবন্ধক সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। তবে কেন এমন হচ্ছে কোষাগার কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।”
কোষাগারের এক আধিকারিক বলেন, “কাজের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কিছু পরিবর্তনের জন্য সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা কাটাতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে সমস্যা মিটবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy