Advertisement
E-Paper

হাজিরা নিয়ে অনিয়ম, কর্মবিরতি শিক্ষকদের

স্কুলে না এসেই এক শিক্ষিকা এক মাস ধরে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন অভিযোগে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা হাইস্কুলে ৬০ জন সহকারী শিক্ষক একযোগে শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। শুক্রবার স্কুলে পরীক্ষা ছিল সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির। শিক্ষকদের কর্মবিরতির ফলে সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৪ ০১:০০

স্কুলে না এসেই এক শিক্ষিকা এক মাস ধরে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন অভিযোগে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা হাইস্কুলে ৬০ জন সহকারী শিক্ষক একযোগে শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। শুক্রবার স্কুলে পরীক্ষা ছিল সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির। শিক্ষকদের কর্মবিরতির ফলে সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। শনিবার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে এলেও ক্লাস না হওয়ায় ফিরে যায়। পড়াশোনা বন্ধের প্রতিবাদে উত্তেজিত অভিভাবকেরা আবার স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শুক্রবার স্কুলে এসেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। শনিবার স্কুলে আসেননি তিনি। বার বার ফোন করা হলেও ধরেননি। স্কুলের শিক্ষকেরা এই অনিয়মের পিছনে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে স্কুলে এই অচলাবস্থা, সেই শিক্ষিকা শতাব্দী দেওয়ান অবশ্য দাবি করেছেন, “আমি জুন মাসে স্কুলে নিয়মিত গিয়েছি। তাই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেছি। তবে ১ জুলাই থেকে স্কুলে আর যাচ্ছি না। ছুটিতে রয়েছি।”

নিমতিতা স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা ৬২ জন। গত ডিসেম্বর মাসে স্কুলে যোগ দেন ভূগোলের শিক্ষিকা শতাব্দী দেওয়ান। স্কুলের সহকারী শিক্ষক মহিবুর রহমান বলেন, “উনি প্রথম থেকেই কামাই করেছিলেন। ৩ জুন থেকে এই পর্যন্ত টানা অনুপস্থিত। গত সপ্তাহে হঠাৎই আমাদের নজরে পরে স্কুলে না এসেও গোটা জুন মাসে হাজিরা খাতায় তাঁর স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে এর কারণ জানতে চাইলেও উত্তর মেলেনি।” জেলা শিক্ষা দফতরেও এই নিয়ে অভিযোগ করেছেন বাকি শিক্ষকরা। শিক্ষা দফতরের স্কুল পরিদর্শক তথা স্কুলের প্রশাসক দেবাশিস সরকার বলেন, “শিক্ষকেরা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। স্কুলে না গিয়েও কার প্রশ্রয়ে এক মাস ধরে হাজিরা খাতায় সই করলেন ওই শিক্ষিকা, তার তদন্তে সোমবার ওই স্কুলে যাব আমি। যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয়, তা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই শিক্ষিকা ও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে।” তবে, অভিযোগ যাই থাক কর্মবিরতি করে শিক্ষকদের এভাবে স্কুলের পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া কোনও অবস্থাতেই মানা যায় না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলার সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক পঙ্কজ পাল।

Irregularities rahunathgang teachers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy