Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

স্টেশন ডিরেক্টর পেতে চলেছে এনজেপি

প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে গতি আনতে ‘স্টেশন ডিরেক্টর’ পেতে চলেছে নিউ জলপাইগুড়ি। স্টেশন ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার এনজেপি-তে থাকলে পরিকাঠামো থেকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

অনির্বাণ রায়
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩১
Share: Save:

প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে গতি আনতে ‘স্টেশন ডিরেক্টর’ পেতে চলেছে নিউ জলপাইগুড়ি। স্টেশন ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার এনজেপি-তে থাকলে পরিকাঠামো থেকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। কাটিহার বা মালিগাঁওয়ের মুখ চেয়ে বসে থাকতে হবে না উত্তর পূর্ব ভারতের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনকে। দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে এই স্টেশন দিয়ে।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই এনজেপি প্রশাসনিক দিক থেকে অনেকটাই স্বনির্ভর হতে চলেছে। রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের ‘এ’ ক্যাটাগরির স্টেশনগুলিতে ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকার কথা। তবে পরে অন্য স্টেশনগুলির মধ্যেও বাছাই করা

কয়েকটিতে ডিরেক্টর থাকবে বলে জানানো হয়। সেই বাছাইতেই সুযোগ পেয়েছে এনজেপি।

এখন, লাইনের পাশ থেকে দখলদার উচ্ছেদ হোক অথবা প্ল্যাটফর্মের শেড মেরামতির প্রস্তাব, সবই পাঠাতে হয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বিভাগীয় সদর কাটিগারে। সেখান থেকে কিছু প্রস্তাব বিবেচনা হয়। কিছু কিন্তু পাঠিয়ে দেওয়া হয় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মূল সদর মালিগাঁওয়ে। তাই অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফল ভুগতে হয় যাত্রীদের।

যেমন, স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেড ভেঙে চৌচির। বৃষ্টি হলে ঝরঝরিয়ে জল পড়ে প্ল্যাটফর্মে। বছরখানেক ধরে এমন চললেও, শেড মেরামতি হয়নি। সূত্রের খবর, পুরো শেড বদলে ফেলতে কাটিহারে প্রস্তাব গিয়েছে, যার উত্তর এখনও আসেনি। স্টেশনের ঢোকা এবং বের হওয়ার লাইনের দু’পাশে দখলদাররা জাঁকিয়ে বসেছে বলে অভিযোগ। যে কারণে, এনজেপিকে বাইপাস করে ‘আউটার’ থেকে লাইন ঘুরিয়ে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন পর্যন্ত বিকল্প পথের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও বছরখানেকের বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু পরিকাঠামো নয়, এনজেপি স্টেশনে আইআরসিটিসি কর্মীদের মতো উর্দি পরে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা চড়া দামে খাবার বিক্রি করলেও কড়া পদক্ষেপ হয় না। স্টেশনের তরফে দাবি করা হয়, নজরদারির জন্য যে লোকবল প্রয়োজন, তা কাটিহার থেকে পাওয়া যায় না।

ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার পেলে এনজেপি সহ লাগোয়া কয়েকটি স্টেশন নিয়ে একটি ‘সার্কিট’ তৈরি হবে। আধিকারিকদের সংখ্যা বাড়বে। রেল মন্ত্রক এবং জোনাল সদর থেকে পরিকাঠামো উন্নয়নের খাতে বরাদ্দ অর্থ সরাসরি স্টেশন ডিরেক্টরের দফতরে এসে পৌঁছবে। রেলের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘ডিরেক্টরেট মানে শুধু একজন অফিসার নয়, একটি আলাদা স্বয়ং সম্পূর্ণ বিভাগও।

এত দিন সবই ভায়া কাটিহার হয়ে আসত, ডিরেক্টরেট হলে তার প্রয়োজন হবে না।’’ তবে কবে ডিরেক্টরেট হবে, তা নিয়ে একনই মুখ খুলতে নারাজ রেল কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

New Jalpaiguri railway station station director
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE