Advertisement
E-Paper

দুর্বলদের দেখেন কি আইএএস-রা

ঊর্ধ্বতন কর্তার মনোভাব প্রতিফলিত হয় এসিআরে। সেটি যায় ডিওপিটি-তে। তার ভিত্তিতে আইএএসের মূল্যায়ন হয়। প্রতি বছরের এসিআরের উপরে আইএএস অফিসারদের পদোন্নতি নির্ভর করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৪:৪৬

আইএএস অফিসারদের অ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট বা এসিআরের বয়ানে কিছু বদল আনতে চাইছে কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি)। কেন্দ্র চায়, সমাজের দুর্বল শ্রেণির জন্য আইএএস-দের কী ভূমিকা, তার উপরে তাঁদের কাজের মূল্যায়ন অনেকাংশে নির্ভর করুক। চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে সব রাজ্যের মনোভাব জানতে চেয়েছে দিল্লি।

গোটা বছরে এক জন আইএএস অফিসার কী কাজ করলেন, অভিনব কোনও ধারণা জোগাতে পারলেন কি না, দফতর চালানোর ক্ষমতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে কি না, কত দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সমর্থ, সহকর্মী-সাধারণের প্রতি কেমন ব্যবহার করলেন ইত্যাদি বিষয় এসিআরে তুলে ধরতে হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তার মনোভাব প্রতিফলিত হয় এসিআরে। সেটি যায় ডিওপিটি-তে। তার ভিত্তিতে আইএএসের মূল্যায়ন হয়। প্রতি বছরের এসিআরের উপরে আইএএস অফিসারদের পদোন্নতি নির্ভর করে।

প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, এসিআরের বয়ানে কিঞ্চিৎ বদল ঘটিয়ে দুর্বল শ্রেণির প্রতি আইএএস অফিসারদের মনোভাব, ব্যবহার, দায়িত্ব, কাজ, সহযোগিতার ইচ্ছা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে ডিওপিটি। কেন্দ্র এই সব বিষয়ে অফিসারের ভূমিকার নিরিখে সংশ্লিষ্ট অফিসারের মূল্যায়ন করা হোক।

আরও পড়ুন: ‘বন্দে মাতরম্’ ভাঙল বলেই দেশভাগ, তত্ত্ব অমিতের

কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই বলে নবান্নের খবর। প্রশাসনের একটি অংশের বক্তব্য, প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষের প্রতি সর্বস্তরের অফিসারদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে চেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই জন্যই জেলা ও রাজ্য-ভিত্তিক প্রশাসনিক বৈঠকে অফিসারদের কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সময়ের মধ্যে পরিষেবা নিশ্চিত করতে আইনও তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। ফলে সমাজের দুর্বল অংশের প্রতি পরিষেবার ব্যাপারে আইএএস অফিসারদের আরও দায়বদ্ধ করার ব্যবস্থা চালু হলে তাতে আপত্তি করবে না রাজ্য।

আমলাদের একটি অংশের বক্তব্য, এই পদ্ধতি নতুন নয়। এই ধরনের বিষয়ে অফিসারদের ভূমিকার প্রতিফলন থাকে এসিআরে। তারই ধার আরও খানিকটা বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। এক প্রবীণ আমলার কথায়, ‘‘এই ভাবনার সমালোচনা চলে না। কিন্তু চলতি রীতিতে অধস্তনের প্রতি ঊর্ধ্বতনের পছন্দ-অপছন্দই শেষ কথা হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। প্রায় সব প্রশাসনেই অল্পবিস্তর এই ধরনের উদাহরণ পাওয়া যায়। সেই রীতির পরিবর্তন ঘটানো গেলে তবেই কিছুটা কাজের কাজ হওয়া সম্ভব।’’

IAS DOPT
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy