—ফাইল চিত্র।
শতবর্ষ পেরোনো আলাপিনী মহিলা সমিতির সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সংঘাত চলছেই। এ বার নতুন মহিলা সমিতি গড়ল বিশ্বভারতী। ‘উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব বিশ্বভারতী’ নামের এই সংগঠনটি বুধবার আত্মপ্রকাশ করল। প্রথম ধাপে শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর মহিলাকর্মী, আধিকারিক ও অধ্যাপকেরা এই সংগঠনের সদস্য হওয়ার সুযোগ পেলেও পরবর্তীতে প্রাক্তনী ও আশ্রমের শুভাকাঙ্ক্ষী মহিলারাও সংগঠনের সদস্যপদ পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক।
বুধবার শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে নবনির্মিত রামকিঙ্কর মঞ্চে নতুন মহিলা সমিতির আত্মপ্রকাশ ঘটে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়-সহ বিশ্বভারতীর বহু কর্মী, আধিকারিক এবং অধ্যাপক। সমিতির নতুন লোগোও উন্মোচন করা হয় এ দিন। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীতে নতুন মহিলা সমিতি তৈরির মাস খানেক আগেই ১০৪ বছরের পুরনো মহিলা সমিতি আলাপিনীকে তাদের অধিবেশন কক্ষ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী। এ দিনের গোটা অনুষ্ঠান জুড়ে আলাপিনী মহিলা সমিতির প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও নবনির্মিত এই মহিলা সমিতি আলাপিনীর ‘প্রতিস্পর্ধী’ হিসেবেই গড়ে উঠতে চলেছে, মনে করছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের একাংশ। যদিও নতুন সমিতির সভানেত্রী সবিতা প্রধান এই সমিতি প্রতিষ্ঠার পিছনে বিশ্বভারতীতে ‘নাক’-এর পরিদর্শন এবং বহু দিন যাবৎ বিশ্বভারতীতে কোনও রকম মহিলা সমিতির অনুপস্থিতিকেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে উপাচার্য অভিযোগ করেন, ‘তথাকথিত রাবীন্দ্রিক ও আশ্রমিক হিসেবে যাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন, তাঁদের একাংশ ‘স্বার্থপর’। সবিতাদেবীকে উদ্দেশ করে উপাচার্য বলেন, ‘‘সমিতির কাজ চালাতে গিয়ে প্রচুর বাধা আসবে। কিন্তু, নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে।’’
আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রবীন্দ্র আদর্শ ও রবীন্দ্র স্নেহধন্য সমস্ত ঐতিহ্যকে ভেঙে একটি সমান্তরাল বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন উপাচার্য। সমান্তরাল মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠা তারই অঙ্গ। ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের নামে রাস্তা হয়েছে, এর পরে নতুন মহিলা সমিতির নাম দুর্গা বাহিনী হলেও আশ্চর্য হব না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy