Advertisement
০৩ মে ২০২৪

বঙ্গে বাজির শব্দমাত্রা কম

সারা দেশে বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল হতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ইচ্ছে করলে তার নীচেও শব্দমাত্রা বাধতে পারে। বুধবার শব্দবাজি নিয়ে মামলায় কার্যত এমনটাই মেনে নিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭ ০১:২০
Share: Save:

সারা দেশে বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল হতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ইচ্ছে করলে তার নীচেও শব্দমাত্রা বাধতে পারে। বুধবার শব্দবাজি নিয়ে মামলায় কার্যত এমনটাই মেনে নিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণ দেখিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জারি করা ৯০ ডেসিবেল শব্দমাত্রার নির্দেশিকা এ দিন খারিজ করেছে। কিন্তু এ-ও জানিয়েছে, আইন এবং সমীক্ষার ভিত্তিতে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করতে পারবে পর্ষদ।

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মেনে বাজির শব্দমাত্রা নিয়ে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হবে। সে ক্ষেত্রে ৯০ ডেসিবেলকেই সর্বোচ্চ মাত্রা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ‘‘আমাদের রাজ্যের বেশির ভাগ নাগরিক বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলে বেঁধে রাখার পক্ষপাতী। রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমরাও সেই পথে হাঁটব,’’ বলছেন পরিবেশ দফতরের এক পদস্থ কর্তা। যদিও সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলছেন, ‘‘এটা আমাদের নৈতিক জয়। পর্ষদ বারবার নানা কারণ দেখিয়ে এ নিয়ে টালবাহানা করছে।’’

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন অফিসার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে বৈধ বাজি কারখানা মাত্র তিনটি। তা হলে শব্জবাজি নিয়ে এই উৎসাহী বাজি বাযবসায়ী কারা?’’

শব্দবাজির বিরোধিতা এ রাজ্যের পরিবেশকর্মী এবং প্রশাসনের পদক্ষেপ নতুন নয়। বছর কয়েক আগে জাতীয় পরিবেশ আদালত দেশে বাজির সর্বোচ্চ শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল করেছিল। তার পরেই এ রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা ৯০ থেকে ১২৫ ডেসিবেল করার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন বাজি ব্যবসায়ীরা। পর্ষদ কর্তাদের মতে, সারা দেশে বাজির মাত্রা যা-ই হোক, আইন অনুযায়ী রাজ্য তার থেকে কম মাত্রা রাখতেই পারে। সেই অধিকারেই রাজ্য বাজির মাত্রা ৯০ ডেসিবেল করেছিল। এই মামলার শুনানিতে পর্ষদের আইনজীবী নয়নচাঁদ বিহানিও আদালতে সেই যুক্তি ও তথ্য পেশ করেন। শব্দমাত্রা নিয়ে পর্ষদ যে সমীক্ষা ও গবেষণা করেছিল, তা-ও আদালতে জমা দেওয়া হয়। তা হলে পদ্ধতিগত ত্রুটি হল কোথায়?

পর্ষদ সূত্রের খবর, ৯০ ডেসিবেল নিয়ে সর্বশেষ নির্দেশিকা জারির সময়ে সমীক্ষার একটি অংশ আসেনি। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। পর্ষদ সূত্রের মতে, এটাকেই পদ্ধতিগত ত্রুটি বলা হয়েছে। এ বার সমীক্ষাকে ভিত্তি করে নির্দেশিকা জারি হলে সেই ত্রুটির জায়গা থাকবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Noise level Sound Fireworks
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE