Advertisement
০৪ মে ২০২৪

দার্জিলিঙের দুই তরুণীর এভারেস্ট জয়

দুই পর্বতারোহী চিরতরে হারিয়ে গিয়েছেন। কয়েক জন ফিরলেও এখনও গুরুতর অসুস্থ। বিপর্যয়ের ধাক্কা এখনও এখনও সামলে উঠতে পারেনি বাংলা। তার মধ্যে দার্জিলিঙের দুই তরুণীর এভারেস্ট জয় করলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৬ ০১:৩৫
Share: Save:

দুই পর্বতারোহী চিরতরে হারিয়ে গিয়েছেন। কয়েক জন ফিরলেও এখনও গুরুতর অসুস্থ। বিপর্যয়ের ধাক্কা এখনও এখনও সামলে উঠতে পারেনি বাংলা। তার মধ্যে দার্জিলিঙের দুই তরুণীর এভারেস্ট জয় করলেন।

দার্জিলিঙের ওই দুই কলেজ ছাত্রীর নাম ত্রিশলা গুরুঙ্গ ও সুলক্ষণা তামাঙ্গ। দু’জনেই এনসিসির সদস্য। ত্রিশলার বয়স ২২ এবং সুলক্ষণার বয়স ২১। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ)-এর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা গত ৪ এপ্রিল এভারেস্টে চড়ার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলেন। ন্যাফের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগেই এভারেস্টে উঠেছেন বাংলার একাধিক পর্বতারোহী। আমাদের জেলার আরও দুই কলেজ ছাত্রীও রবিবার বিকেলের দিকে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন। পাহাড়ে বিপর্যয়ের জন্য যখন উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছি, সেই সময়ে এই সাফল্যের খবর পেলাম। ন্যাফের পক্ষ থেকে এঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’ খুশি দুই ছাত্রীর পরিবারও।

ন্যাফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে দার্জিলিং থেকে রওনা হন দুই ছাত্রী। আরেও কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে সারা ভারত এনসিসি দলের হয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় শিখরে পৌঁছান বলে জানানো হয়েছে। সেখান থেকেই বার্তা পাঠানো হয় বেসক্যাম্পে। তাঁরা এখনও পর্যন্ত সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা বেস ক্যাম্পের দিকে যাত্রা শুরু করেছেন বলেও জানান অনিমেষবাবু। দলের নেতৃত্ব দেন গৌরব কারকি ও মেজর দীপিকা রাঠোর। বাকি সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন। দু’জনেই হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে পাহাড়ে চড়ার প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছেন।

ত্রিশলার বাড়ি লাসা গ্রামে। তিনি দার্জিলিংয়ের সাউথফিল্ড কলেজের ভূগোল অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ত্রিশলার বাবা গণেশবাবুর দাবি, মেয়ে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছানোর পরে শেষ কথা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে শিখরে পৌঁছেছে বলে আমাকে এক আত্মীয় ফোনে জানান। মেয়ের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি। আনন্দ করব।’’

সুলক্ষণার বাড়ি কাছারি রোডে। সে ঘুম কলেজের প্রথম বর্ষের কলা বিভাগের ছাত্রী। সুলক্ষণার বাবা ওমপ্রকাশ তামাঙ্গ অবশ্য লোকমুখে শুনেছেন বলে জানান। তবে তাঁর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE