খুনে ধৃত এক অভিযুক্ত। —নিজস্ব চিত্র।
ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে পিনাকী দত্তের খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করলেন শিলিগুড়ি আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক দেবাঞ্জন ঘোষ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায়বসুনিয়া দাবি করেন, অভিযোগ যেহেতু গুরুতর তাই ধৃতদের জেরা করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে সময় প্রয়োজন।
পাশাপাশি অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া দরকার তদন্তে স্বার্থে। তাই পুলিশি হেফাজত নেওয়া জরুরি। যত বেশি দিন জেরা করা যাবে ততই ঘটনার উপর থেকে পর্দা সরানো সম্ভব হবে বলে তাঁর দাবি ছিল। অভিযুক্তদের পক্ষে ভানু সিংহ সরকার, অভীক অধিকারী, অরূপ মোদক ছিলেন আইনজীবী হিসেবে। তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ হয়নি বলে বিচারককে জানান। শেষে অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনের শারীরিক অবস্থা ভাল নয় বলে দাবি করে তাঁদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ কমানোর দাবি জানান তাঁরা। যদিও পুলিশের দাবি মতো ১৪ দিনের হেফাজতই মঞ্জুর করা হয়।
সরকারি আইনজীবী সুদীপবাবু বলেন, ‘‘ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী অভিযুক্তদের জামিন হলে তাঁরা সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারেন বলে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে জানাই।’’ অভিযুক্তদের অন্যতম এক আইনজীবী ভানুবাবু দাবি করেন, ‘‘পুলিশ স্রেফ সন্দেহের বশে এদের ধরেছে। কেউই খুনে যুক্ত ছিল এমন কোনও প্রমাণ বা সাক্ষ্য পুলিশ জোগাড় করতে পারেননি। ফলে এত দিন হেফাজতে নেওয়ার কোনও যুক্ত নেই বলে জানিয়েছি।’’ অপর আইনজীবী বলেন, ‘‘ধৃতদের মধ্যে দু’জনের শারীরিক অসুস্থতার কথা বিচারককে জানিয়েছিলাম।’’
বুধবার দুপুরে বাবুপাড়া, সেবক রোড, এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নামে এর আগেও বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, তোলাবাজি, মাদক মামলায় নাম আছে। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, কয়েকজন পরিচিতের সঙ্গে অরূপের গোলমাল হয়েছিল। তার জেরেই শত্রুতা। ১ মে খুনের ঘণ্টা খানেক আগে, বাইক পার্কিং নিয়ে তার সঙ্গে ফের গোলমাল বাঁধে। তখন পিনাকীর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। পরে পিনাকীকে একা পেয়ে তাঁর উপরে হামলা চালায় বলে পুলিশে ধারণা। এদিন হেফাজতে নিয়ে তাঁদের জেরা করে পুলিশ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy