Advertisement
E-Paper

নজরে কোন বুথ, চুপ প্রশাসন

রাত পোহালেই রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরসভায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কত, তা স্পষ্ট নয় প্রশাসনের কাছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ০২:৫৫

রাত পোহালেই রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরসভায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কত, তা স্পষ্ট নয় প্রশাসনের কাছে। ভোটের দিন কোনও বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে কিনা ও কত জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে, সেই বিষয়েও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক তথা পুরসভার নির্বাচনী আধিকারিক থেন্ডুপ নামগিয়েল শেরপার বক্তব্য, ‘‘নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি বিচার করে যে কোনও সময়ে স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা যায়। এর বেশি কিছু বলব না।’’ এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। তাঁর দাবি, কমিশনের ‘গাইডলাইন’ মেনেই সব কাজ করা হচ্ছে। ভোটের দিন কত পুলিশকে নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন করা হবে সেই বিষয়ে পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে পুলিশ সক্রিয়।’’

সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির অভিযোগ, ভোট ঘোষণার পর থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। একাধিক ওয়ার্ডে বিরোধী প্রার্থী বাড়ির সামনে গুলি-বোমাও ছোড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের দাবি, ‘‘তৃণমূলের নির্দেশেই প্রশাসন স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করেনি। ফলে কোনও বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কত পুলিশ মোতায়েন করা হবে, তা-ও জানানো হয়নি।’’ এই একই দাবি রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তেরও। একযোগে তাঁরা দাবি করেছেন, ‘‘শহর জুড়ে চাপা সন্ত্রাসের আবহে প্রতিটি বুথই স্পর্শকাতর বলে আমরা মনে করছি।’’ সেলিমের দাবি, কমিশনের কাছে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং পুলিশকে রুটমার্চ করানোর দাবিও জানানো হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রীতেশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘দলের তরফে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’

রীতেশ ও বিজেপি জেলা পর্যবেক্ষক অমিতাভ মৈত্র শহরের কসবা মোড় থেকে শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন। বীরনগর, বন্দর ও দেবীনগর এলাকায় কংগ্রেস-সিপিএম প্রার্থীদের হয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন সেলিম। তৃণমূল জেলা সভাপতি অমল আচার্য এবং তাঁর লোকজন ২৭টি ওয়ার্ডেই দফায় দফায় পদযাত্রা করেন।

পরে অমল আচার্য জানান, তাঁদের দল সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করে না। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি একজোট হয়েও বুঝে গিয়েছে, ভরাডুবি হবেই। তাই প্রচারের আলোয় আসতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’’

Election Raiganj Municipality Vote Raiganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy