Advertisement
০২ মে ২০২৪
North Sikkim

বিপর্যয়ের পরে উত্তর সিকিম জুড়তে বেলি সেতু

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বেলি সেতুটি চুংথাং ও পেগং-কে জুড়বে। বেলি সেতুটির উদ্বোধন করবেন সিকিমের সড়ক ও সেতু দফতরের মন্ত্রী সামদুপ লেপচা। তিনি এলাকার বিধায়কও।

An image of Sikkim

তিস্তার হড়পা বানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিম। —ফাইল চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৭
Share: Save:

গত ৪ অক্টোবর তিস্তার হড়পা বানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিম। দেশের বাকি রাজ্যের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর সিকিম। সব মিলিয়ে ১৪টির বেশি ছোট বড় সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। প্রায় দেড় মাসের মাথায় চুংথাং দিয়ে উত্তর সিকিমের সঙ্গে বাকি রাজ্য বেলি সেতু দিয়ে জুড়তে চলেছে। মাসখানেকের রাতদিন চেষ্টার পরে সেনাবাহিনী ও ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন’ (বিআরও) তৈরি করেছে বেলি সেতুটি। মঙ্গলবার সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যায় তা খোলা যায়নি। তবে চলতি সপ্তাহে রাস্তা খুললেও, পর্যটকদের ছাড়পত্র মিলবে আরও ক’দিন পরেই।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বেলি সেতুটি চুংথাং ও পেগং-কে জুড়বে। বেলি সেতুটির উদ্বোধন করবেন সিকিমের সড়ক ও সেতু দফতরের মন্ত্রী সামদুপ লেপচা। তিনি এলাকার বিধায়কও। এ দিন দুপুরে উদ্বোধনের আগে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়েরা খেয়াল করেন, সেতুটি ঠিকঠাক হলেও দু’পাশের রাস্তার সঙ্গে সেতু পুরোপুরি সমান্তরাল হয়নি। উচ্চতা নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সেতুটির উচ্চতা ঠিক করার কাজে হাত দেওয়া হয়। সেতুর লোহার খাঁচা নীচের অংশ রাস্তার সঙ্গে সমান্তরাল করে বসানো হয়েছে। তা আবার ঠিকঠাক করে বদল করা হচ্ছে। তবে আজ, বুধবার বা কাল, বৃহস্পতিবার সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।
সিকিমের রাজ্য প্রশাসনের এক সচিবের কথায়, ‘‘সেতুটি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেনাবাহিনীর তরফে তৈরি করা হয়েছে। তবে মূল সেতুর কাজ এ বার শুরু করা হবে। তা নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র আলোচনা চলছে। একাধিক সেতু নতুন করে তৈরির বিষয় রয়েছে। তাই আর্থিক বরাদ্দের বিষয় রয়েছে।’’

গ্যাংটক থেকে মঙ্গন হয়ে টুং যেতে হত। সেখান থেকে চুংথাং ঢুকতে হয়। টুং থেকেই উত্তর সিকিমের পারমিট দেওয়া হয়। এই রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। পরিবর্তে, গ্যাংটক থেকে মঙ্গন হয়ে সংকলন অবধি রাস্তা প্রথমে খোলা হয়েছে। মঙ্গন এবং সংকলনের মাঝেও সেতু তৈরি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে জঙ্গু যেতে হয়। এ বার সংকলন থেকে পেগং হয়ে চুংথাং পৌঁছনো যাবে। সেখান থেকে দু’দিকের আলাদা রাস্তায় লাচুং ও লাচেন জুড়বে। লাচুংয়ের রাস্তা চালু হলেও, লাচেন বড়দিনের মরসুমের আগে খুলবে কি না ঠিক নেই। বিপর্যস্ত উত্তর সিকিমে শীতের মরসুমে বেশি পর্যটক আসবেন না ধরে নিয়ে ধাপে ধাপে কাজ চলছে। তাই স্থানীয়দের জন্য চুংথাংয়ের সেতু দিয়ে প্রথমে ছোট গাড়ি, মোটরবাইক চলবে। বড় গাড়ি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘রাস্তা, সেতু ধাপে ধাপে খুললে পরিস্থিতি, পরিবেশ স্বাভাবিক হবে। স্থানীয়দের যাতায়াত চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে পর্যটকেরাও নিশ্চয়ই ছাড়পত্র পাবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

North Sikkim Natural Disaster Bailey Bridge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE