Advertisement
১৭ জানুয়ারি ২০২৫

বন্‌ধে বাস চালকদের হেলমেট

সিটু অনুমোদিত এনবিএসটিসি এমপ্লয়েজ ইউনিয়নের সভাপতি জগতজ্যোতি দত্ত অবশ্য বলেন,  “আমরা শ্রমিকের জন্য লড়াই করছি। সকলকে ধর্মঘটে সামিল হতে অনুরোধ করেছিলাম

সুরক্ষা: বন্‌ধে এ ভাবেই বাস চালালেন চালকেরা। নিজস্ব চিত্র

সুরক্ষা: বন্‌ধে এ ভাবেই বাস চালালেন চালকেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:২০
Share: Save:

আর ‘ধার’ করার ব্যাপার নেই। ধর্মঘটে বাস নিয়ে রাস্তায় নামা চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজেদের ‘কেনা’ হেলমেট দিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি)। মঙ্গলবার ওই হেলমেট পরেই বিভিন্ন রুটে বাস নিয়ে যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী হন নিগমের চালকেরা।

নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গল ও বুধবার পর পর দু’দিন ধর্মঘটের মুখে চালকদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে ছ’শো হেলমেট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে নিগমের বিভিন্ন ডিভিশনের কর্তাদেরও উদ্যোগী হতে বলা হয়। সব মিলিয়েই ওই হেলমেট কেনা হয়। এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘চালকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই হেলমেট কেনা হয়।’’

বামেদের ডাকা ওই ধর্মঘটের প্রথম দিন সকালে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বহরমপুর থেকে বীরভূমের বিভিন্ন রুটে হেলমেট পরে যাত্রীবাহী বাস রাস্তায় নামান চালকেরা। বিকেল পর্যন্ত অবশ্য নিগমের সদর দফতর কোচবিহার পরিবহণ ভবনে বাসে ভাঙচুর, গোলমাল, ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। তার পরেও অবশ্য চালকেরা কেউ ঝুঁকি নেননি।

নিগম কর্তৃপক্ষ সূত্রেই জানা গিয়েছে, টানা দু’দিন ধর্মঘট ঘোষণা হতেই চালকদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে পরিবহণ দফতর। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীও ওই ব্যাপারে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেন। সব মিলিয়েই তড়িঘড়ি ওই হেলমেট কেনা হয়েছে। নিগমের এক আধিকারিক জানান, গত বছর সেপ্টেম্বরেও বন্‌ধের দিন হেলমেট দেওয়া হয়। সে বার কিছু হেলমেট কেনা হলেও প্রচুর হেলমেট পুলিশের থেকে ধার করে চালকদের দিতে হয়। এ বার পরিবহণ দফতরের নির্দেশে ওই সমস্যা হয়নি। এনবিএসটিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবলচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘এ বার চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে ৬০০ হেলমেট কেনা হয়। ফলে ধার করার দরকারও হয়নি।’’

নিগম সূত্রের খবর, হেলমেট কিনতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বন্‌ধ, ধর্মঘট ডাকা হলে রাস্তায় বাস ভাঙচুর, গাড়ির কাচ, চালকদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার প্রবণতা গত কয়েক বছরে একাধিক বার দেখা গিয়েছে। এ বার একসঙ্গে ওই হেলমেট কেনায় নিগমের নিজস্ব সম্পদও তৈরি হল।

সিটু অনুমোদিত এনবিএসটিসি এমপ্লয়েজ ইউনিয়নের সভাপতি জগতজ্যোতি দত্ত অবশ্য বলেন, “আমরা শ্রমিকের জন্য লড়াই করছি। সকলকে ধর্মঘটে সামিল হতে অনুরোধ করেছিলাম। শ্রমিকদের ক্ষতি হবে, এমন কিছু আমরা করি না। তা ছাড়া, নিগমের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে টাকা খরচ করে হেলমেট কেনার দরকার ছিল না।’’ ইনটাক অনুমোদিত নিগম কর্মীদের সংগঠন এনবিএসটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি সুজিত সরকার বলেন, “আমরাও সাংগঠনিক ভাবে ধর্মঘটে আছি। তবে সতর্কতা হিসাবে চালকদের নিরাপত্তার জন্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতেই পারেন। তবে আসল উদ্দেশ্য ধর্মঘট বানচাল করা।”

তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা নেতা প্রাণেশ ধর অবশ্য বলেন, ‘‘কে কি বলছেন জানি না।

চালকদের সুরক্ষায় হেলমেট কেনা দরকার ছিল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bandh Bharat Bandh Strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy