—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট শেষ হতেই পাহাড়ে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে বিজেপি। ভোটের ফল খারাপ হতেই দলের নীতি ভুল বলে তোপ দেগেছিলেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। এ বার তিনি দলের নেতাদের লক্ষ্য করে মন্তব্য করেছেন। সোমবার শিলিগুড়িতে তিনি দাবি করেন, বিজেপি বাইরে থেকে পাহাড়ে লোক নিয়ে আসে আর তাঁরা নানা মিথ্যা আশ্বাস পাহাড়বাসীকে দেয়। তাঁর অভিযোগ, দিল্লিও কথা রাখেনি এবং এ সবরে ফলে পাহাড়ে দলের ক্ষতি হচ্ছে। নাম না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সাংসদ রাজু বিস্তাকে আক্রমণ করেন কার্শিয়াঙের বিধায়ক।
তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি দল নিয়ে কিছুই বলছি না। দল বরাবর ভাল। দলের নীতি কিছু লোক ঠিক করতেই পাহাড়ে ভুল হচ্ছে। আমরা পাহাড়ে দল করছি। সেখানে বাইরে থেকে লোক এসে মিথ্যা বলছেন। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে না, কিন্তু ভোটের প্রচারে বলা হল। দিনও বলা হল। কিছুই হল না।’’ তাঁর বক্তব্য, পাহাড়ের ১১ জনজাতির তফসিলি স্বীকৃতি এবং স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে বছরের পর বছর নানা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং তা হচ্ছে না দেখেই দলের গ্রহণযোগ্যতা পাহাড়ে কমছে। উল্লেখ্য, এ বার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারেও নামেননি কার্শিয়াঙের বিধায়ক।
কয়েক মাস ধরে কার্শিয়াঙের বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বেড়েছে। মাসছয়েক মাসে তিনি জনসংযোগ যাত্রা শুরু করলেও দল তাতে খুব একটা আমল দেয়নি। বিধানসভায় তিনি আলাদা রাজ্যের দাবি তুললেও দলের নীতিতে তিনি দলের অন্দরে খুব বেশি সমর্থন পাননি। উল্টে দলের কেন্দ্র এবং রাজ্য নেতৃত্ব গোটা রাজ্যের রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে তা ‘বিজেপির তালিকায় নেই’ বলে দাবি করেছে। কার্শিয়াঙের বিধায়ক বলেন, ‘‘২০২১ সালে অক্টোবর মাসে পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় দিল্লিতে। দু’এক মাসের মধ্যে আবার বৈঠক হওয়ার কথা বলা হয়। দু’বছর হতে চলল আর কিছু হয়নি।’’ তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা ভোটে জিতেছি পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক ব্যবস্থা, ১১ জনজাতির স্বীকৃতির আশ্বাস দিয়ে। সেখান থেকে সরে আসার প্রশ্ন নেই। আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও দেব না। দলের ক্ষতি ছাড়়া কিছুই হচ্ছে না।’’
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে পাহাড়ে সাংসদ রাজু বিস্তা ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে প্রচার করেন। পাহাড়ের জন্য বৈঠকের ঘোষণার কথাও বলা হয়। যদিও তা হয়নি। আর এই নিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। যদিও দলের বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে সাংসদ বা পাহাড় কমিটির সভাপতি কোনও মন্তব্য করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy