Advertisement
E-Paper

দখল উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি জারি, নিজেরাই সরছেন ব্যবসায়ীরা

বালুরঘাটে প্রশাসনিক ভবন চত্বরের জায়গা দখল মুক্ত করতে রাস্তার ধার থেকে দোকানপাট উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক তাপস চৌধুরী। পাশাপাশি শহরের কাছারি রোড় এলাকায় জীর্ণ গ্যারিটি সেতুর জায়গায় কংক্রিটের নতুন সেতু তৈরির জন্য আত্রেয়ী খাঁড়ির লাগোয়া রাস্তার দুধার থেকে দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়ার প্রশাসনিক উদ্যোগ ব্যবসায়ীরা মেনে নিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৫ ০৩:০৬

বালুরঘাটে প্রশাসনিক ভবন চত্বরের জায়গা দখল মুক্ত করতে রাস্তার ধার থেকে দোকানপাট উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক তাপস চৌধুরী। পাশাপাশি শহরের কাছারি রোড় এলাকায় জীর্ণ গ্যারিটি সেতুর জায়গায় কংক্রিটের নতুন সেতু তৈরির জন্য আত্রেয়ী খাঁড়ির লাগোয়া রাস্তার দুধার থেকে দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়ার প্রশাসনিক উদ্যোগ ব্যবসায়ীরা মেনে নিয়েছেন। কিছুদিন আগে বনিকসভা এবং সংশ্লিষ্ট দোকান ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে শহর উন্নয়নের স্বার্থে উচ্ছেদ মেনে নিয়ে পরবর্তীতে দোকানিদের ওই জায়গায় পুণর্বাসনের আবেদন প্রশাসন কর্তৃপক্ষকের কাছে বনিকসভার পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। এলাকার ব্যবসায়ী প্রদীপ সাহা বলেন, সেতু তৈরির পর, নিজের জায়গায় দোকান বসানোর আশ্বাস পূর্ত দফতর থেকে দেওয়া হয়েছে। কাঠ ও টিনের তৈরি মোট ১০৬টি দোকানকে ওই শর্তে উঠে যেতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার থেকে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই খাঁড়ি সংলগ্ন পূর্ত দফতরের রাস্তার ধার থেকে দোকান ভেঙে সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দীর্ঘকাল ধরে শহরের ওই এলাকায় সেচ ও পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে থাকা শতাধিক দোকান ব্যবসায়ীরা নিজেরাই উঠতে শুরু করায় খুশি বাসিন্দারা। বাম আমলে জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অপারেশন সানশাইনের ডাক দিয়ে কলকাতা সহ জেলাগুলিতে বেআইনি উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছিল রাজ্য সরকার। কলকাতায় ওই অভিযান ফলপ্রসূ হলেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান হটাতে তৎকালীন শাসক দলের তরফে তেমন উৎসাহ না থাকায় প্রশাসনিক উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে শহরবাসীর একাংশ অভিযোগ তোলেন।

তবে এ বারে শাসক তৃণমূলের তরফে দখলদার উচ্ছেদের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে বাধা দেওয়ার বদলে শুরু থেকেই ওই সরকারি সিদ্ধান্তকে কার্যত সমর্থন জানিয়ে একাংশ দোকানিদের থেকে নেতৃবৃন্দ সমদূরত্ব বজায় রাখেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের প্রশাসনিক ভবনে দোকান ব্যবসায়ীদের ডেকে জেলাশাসক আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকলকে সরকারি জায়গা ছেড়ে দিয়ে দোকানপাট তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই বৈঠকে জেলার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। ফলে চলতি জুনের মধ্যে প্রশাসনিক ভবন চত্বর এলাকা থেকে পূর্ত দফতরের অফিস বাংলো পর্যন্ত রাস্তার ধার থেকে ২৯টি দোকানকে উঠে যেতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটি কর্মী সমবায় সমিতির দোকান এবং বাম ছাত্র সংগঠনের অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা কার্যালয়কেও উঠতে হবে। প্রশাসনের তরফে দোকানিরা কোনও বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস না পেয়ে কিঞ্চিত হতাশ হলেও জেলাশাসকের ওই নির্দেশ মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই বলেও অনেকে জানান।

জেলাশাসক তাপসবাবু বলেন, অরক্ষিত প্রশাসনিক ভবন চত্বরটির চারদিকে সীমানা পাঁচিল তৈরির পাশাপাশি একগুচ্ছ উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। রাস্তা-সহ ভেতর থেকে গুমটি দোকান ঘরগুলি তুলে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সমবায় ভবন এবং ৫০ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী থাকার উপযুক্ত একটি ব্যারাক তৈরি করা হবে। সাংসদ কোটা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, যুবকল্যাণ দফতর সহ বিভিন্ন তহবিলের আর্থিক সহায়তা মিলেছে। ৪০০ আসন বিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৭২ লক্ষ টাকা। এলাকায় সৌন্দর্যায়নের প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। এলাকার বিধায়ক তথা পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, আত্রেয়ী খাঁড়ির উপর ব্রিটিশ আমলের জীর্ণ ও সংকীর্ণ গ্যারিটি সেতুর বদলে সেখানে ১৫ মিটার দীর্ঘ একটি অত্যাধুনিক কংক্রিটের সেতু তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ওই এলাকায় সেতু সংযোগকারী রাস্তার দুধার থেকে দোকানপাট উঠে গেলে কাজ শুরু করা হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট তুলে নিতে বলা হয়েছে। যা এ দিন থেকেই দোকান ভাঙাভাঙি শুরু করে দিলেন ব্যবসায়ীরা।

balurghat advertisement of eviction jyoti basu chief minister
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy