Advertisement
২৮ মার্চ ২০২৩

আটক সিকিমের একুশটি গাড়ি 

পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কাউন্টার সিগনেচার’ ছাড়া সিকিমের বাণিজ্যিক গাড়িগুলি শুধু এনজেপি স্টেশন ও বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু তারা এই দুই জায়গা ছাড়াও অন্যত্র চলে যাচ্ছে। সেটা বেআইনি।’’

আটক: সিকিমের এই গাড়িগুলি নিয়েই বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র

আটক: সিকিমের এই গাড়িগুলি নিয়েই বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৩:৫৬
Share: Save:

সিকিমের গাড়ি নিয়ে আবার বিপত্তি। বৈধ অনুমতি ছাড়া সে রাজ্যের বেসরকারি মালিকানার বাণিজ্যিক গাড়ি ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গে— এই তথ্যের উপরে ভিত্তি করে অভিযান চালিয়ে এমন ২১টি গাড়িকে আটক করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ, যাদের ‘কাউন্টার সিগনেচার’ নেই।

Advertisement

সিকিম থেকে রোজ শতাধিক গাড়ি শিলিগুড়ি-সহ সমতলের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকছে। এর মধ্যে সিকিম ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টের ২৭টি বাসও আছে। নিয়ম অনুযায়ী, সিকিম থেকে যে সব গাড়ি আসবে, তাদের পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতরের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। পরিবহণ দফতরের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘কাউন্টার সিগনেচার’। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টের গাড়িগুলি সেই নিয়ম মেনে চললেও বেসরকারি বাণিজ্যিক গাড়িগুলির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কাউন্টার সিগনেচার’ ছাড়া সিকিমের বাণিজ্যিক গাড়িগুলি শুধু এনজেপি স্টেশন ও বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু তারা এই দুই জায়গা ছাড়াও অন্যত্র চলে যাচ্ছে। সেটা বেআইনি।’’

গাড়ি যাতায়াত নিয়ে অনেক দিন ধরেই সিকিমের সঙ্গে সমস্যা চলছে পশ্চিমবঙ্গের। এক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যিক বেসরকারি গাড়ি সিকিমে ঢোকার অনুমতি পেত না। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সিকিমের গাড়িগুলির উপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সম্প্রতি মমতার সঙ্গে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিঙের যে বৈঠক হয়, তখন এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সিকিমের প্রশাসনিক মহলের একটি অংশের দাবি, সেখানে গাড়িচালকদের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে তাঁদের চটাতে নারাজ শাসকদল। তাই এত দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের গাড়িগুলির উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ পাল্টা বিধিনিষেধ চাপাতেই ফাঁপড়ে পড়ে যান তাঁরা।

শেষ অবধি সেই সমস্যা মিটলেও ‘কাউন্টার সিগনেচার’ না নিয়ে শিলিগুড়ি বা অন্যত্র গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার প্রবণতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, দাবি রাজ্য পরিবহণ দফতরের। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পরিবহণ দফতর অফিস সূত্র জানিয়েছে, তাই নজরদারি চালিয়ে ২১টি গাড়িকে আটক করে।

Advertisement

শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক মিল্টন সাহা বলেন, ‘‘জরিমানার জন্য গাড়ির মালিকদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.