Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
Teacher Recruitment

পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ, রাজুর চিঠি সিবিআই প্রধান ও রাজ্যপালকে

গত বিধানসভা ভোটের আগে, ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, স্কুলশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয় পাহাড়ে। মোট ৩২টি কেন্দ্রে ১৪,৫০০ জন পরীক্ষা দেন।

An image of exam

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৫
Share: Save:

চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা নিয়ে উত্তাপের পরে এ বার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে তেতে উঠছে পাহাড়। দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে স্কুলে নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে তদন্তের দাবিতে এ বার সিবিআই অধিকর্তা প্রবীণ সুদ ও রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ বিজেপি। মঙ্গলবার দু’জায়গাতেই চিঠি পাঠিয়েছেন সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর দায়িত্বপ্রাপ্তদের নামে ফৌজদারি মামলা করে তদন্তের দাবি তুলেছেন। দু’দিন আগে হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডও তদন্তের দাবি তোলেন। এ দিনই এক পরীক্ষার্থী জিটিএ তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে দার্জিলিং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রয়োজনে আদালতে চ্যালেঞ্জের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপাও।

বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘বিরাট টাকার দুর্নীতিই শুধু নয়, বহু ছেলেমেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। রাজ্যপালকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। সেই সঙ্গে সিবিআই অধিকর্তাকেও তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।’’ বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন চুপচাপ থাকার পরে অনীত এ দিন বলেন, ‘‘পাহাড়ের পরিবেশ নষ্ট করার চক্রান্ত। পাট্টা নিয়ে সমস্যা তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু সেখানে কিছু হবে না বুঝতে পেরে নতুন দিক খোলা হচ্ছে। আমরাও আইনি প্রস্তুতি নিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতর জিটিএ-তে হস্তান্তরিত হয়ে গিয়েছে। প্রাইমারি স্কুল বোর্ডও জিটিএ-র অধীনে। পাহাড়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তথ্য জানার অধিকারে যা সামনে এসেছে, তা ঠিক নয়। জিটিএ আইন দেখে পাঠানো হয়নি। সরকারকে বিষয়টি জানাচ্ছি।’’

গত বিধানসভা ভোটের আগে, ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, স্কুলশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয় পাহাড়ে। মোট ৩২টি কেন্দ্রে ১৪,৫০০ জন পরীক্ষা দেন। পাহাড়়ের ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে প্রত্যেক আবেদনকারীকে ২৭০ টাকা করে জমা দিতে হয়। বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বই বা বিদেশে কর্মসূত্রে থাকা ছেলেমেয়েরা বাড়ি ফিরে এসে পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা নেওয়া হলেও পুরোপুরি ভাবে নিয়োগের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। অজয় এডওয়ার্ডের কথায়, ‘‘ভোট আদায়ের জন্য ভুয়ো পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।’’

ভোটের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন বিনয় তামাং। পরীক্ষা যখন হয়, সেই সময় তিনি অবিভক্ত মোর্চার একটি গোষ্ঠীর সভাপতি ছিলেন। অনীত দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মোর্চা ছেড়ে দেওয়ার পরে বিষয়টিকে ভোটের রাজনীতি করার জন্য পরীক্ষা বলে বিনয় অভিযোগ তোলেন। তবে বিনয় আপাতত নীরব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE