Advertisement
০৩ মে ২০২৪

কোচবিহার: আমাদের চিঠি

লাইন না শেষ হতেই জল ফুরোয় কলে

ভোগান্তির এই ছবি রোজকার। —নিজস্ব চিত্র।

ভোগান্তির এই ছবি রোজকার। —নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৫ ০৩:১৮
Share: Save:

লাইন না শেষ হতেই জল ফুরোয় কলে

বহু দিন ধরে আমাদের ওয়ার্ডে পানীয় জলের প্রচণ্ড সমস্যা। কোচবিহার পুরসভার এই ২০ নম্বর ওয়ার্ডে গরম পড়তেই সমস্যা আরও মারাত্মক চেহারা নেয়। প্রায় রোজই ট্যাপকলের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে ফিরে যেতে হয় আমাদের। জল আসে না। হাতেগোনা যে ক’দিন জল পাওয়া যায়, সে দিনগুলিরও অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। সরু সুতোর মতো করে জল পড়ে। একটি পাঁচ লিটারের পাত্র ভরতেই এত সময় লেগে যায় যে, তত ক্ষণে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। মাঝে মধ্যে জলে আবার আবর্জনা দেখা যায়। বাধ্য হয়ে আমাদের ওয়ার্ডের অনেকে পুরসভার জলের উপরে ভরসা ছেড়ে দিয়েছেন। বাজার থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জল কিনে আনছেন তাঁরা। অনেকেরই সে সাধ্য না থাকায়, যে জল সামনে পাচ্ছেন, তা-ই পানীয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। এ রকম চলতে থাকলে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়বে। আশপাশের ওয়ার্ডেও পানীয় জলের পরিষেবা খুব ভাল নয়। ‘আমার শহর’ এই সমস্যাকে সামনে আনায় আমরা আশাবাদী। অবস্থার দ্রুত বদল চেয়ে এই তথ্যগুলিও তুলে ধরলাম।

ঐশী সাহা ,২০ নম্বর ওয়ার্ড, কোচবিহার

আমি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমাদের এখানে প্রায় প্রত্যেকেই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। এখানে টাইম কলের জল ঠিক মতো পাওয়া যায় না। যদি বা কখনও পড়ে, তাও ফোঁটায় ফোঁটায়। ফলে জল নিতে এক জনেরই অনেক সময় লেগে যায়। তার মধ্যেই যথারীতি সময় শেষ হয়ে যায় এবং বাকিরা জল না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। যাঁদের বাড়িতে সংযোগ রয়েছে, তাঁদেরও একই অবস্থা। জলের গতি এত কম যে, নিচু জায়গা থেকে কোনও পাত্র বসিয়ে জল তুলতে হয়। উপরন্তু, প্রচুর পাম্প রয়েছে। বেশ কিছু বাড়িতে জলাধার ছাড়া সরাসরি পাম্পের মাধ্যমে পাইপ থেকে জল ট্যাঙ্কে তোলা হয়। ফলে এলাকার অন্য মানুষেরা জল পান না। বিষয়টি বহু বার বহু জায়গায় জানানো সত্ত্বেও কাজ হয়নি।

দীপ্তি ঘোষ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড, কোচবিহার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE