প্রায় শূণ্য ডিগরিতে দার্জিলিং। —ফাইল চিত্র।
মেঘের খেলায় কোচবিহারের কাছে কার্যত ‘গোল’ খেয়ে গেল কালিম্পং। সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এ বার মেঘাচ্ছন্ন কালিম্পংকে টেক্কা দিল মেঘমুক্ত কোচবিহার। বৃহস্পতিবার কালিম্পংয়ের চেয়ে প্রায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামল কোচবিহারের। এ দিন কালিম্পংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোচবিহার ছিল ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিনই শূন্য ডিগ্রিতে নেমে শীতলতম হয় দার্জিলিং। যদিও, সন্ধ্যা পর্যন্ত তুষারপাত হয়নি বলেই খবর। আবহাওয়ার ভাষায় 'শীতল দিন' পেল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত কয়েকদিন চলতে পারে বলে ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের। গত কয়েক দিন প্রায় রোজই উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ায় চমক থাকছে। কখনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কালিম্পংয়ের সঙ্গে এক সারিতে বসছে জলপাইগুড়ি। কখনও কালিম্পংকে পিছনে ফেলে তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে কোচবিহারের। পাহাড়ের সঙ্গে পাদদেশের এলাকাগুলির একটি বড় ফারাক হচ্ছে মেঘ। আবহাওয়া আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, মেঘ থাকলে তাপমাত্রা নামতে পারে না। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে গত কয়েক দিন থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমের পাহাড় মেঘাচ্ছন্ন। মাঝেমধ্যে শিলাবৃষ্টি এবং ছিটে ফোঁটা বৃষ্টিও চলছে। সান্দাকফু, নাথু লার মতো উঁচু পাহাড়ে চলছে তুষারপাত। বুধবার রাতেও কালিম্পংয়ের লাভায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
আধিকারিকদের দাবি, মেঘাচ্ছন্ন পরিস্থিতি থাকলে রাতের তাপমাত্রা নামতে পারে না। রাতের তাপমাত্রার উপরেই এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিচার করা হয়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘কালিম্পংয়ে মেঘ রয়েছে। কিন্তু সমতলের কয়েকটি জায়গা এবং কোচবিহারে বুধবার দিনে মেঘ থাকলেও তা বিকেলের পর থেকে সরে অসমের দিকে সরে যায় যায়। রাতে মেঘমুক্ত আকাশে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা নেমে যায়।’’ কোচবিহারে গত কয়েক দিন থেকেই কুয়াশা এবং মেঘ ছিল। সূর্য ওঠেনি। প্রবল শীত। এ দিন সিকিমের তাদং এলাকা থেকেও কম ছিল কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গ্যাংটকের থেকে কোচবিহারের তাপমাত্রার ফারাক ছিল দু'ডিগ্রিরও কম।
এ দিন কয়েকটি জেলায় ‘শীতল দিন’ বলে বিবেচিত হয়েছে। আবহাওয়া আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রা নীচের দিকে স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম থাকলে সেই সব এলাকা 'শীতল দিন' বলে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার, মালদহ, জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো কয়েকটি জেলা রয়েছে। সমতলের জেলাগুলিতে ছিটে ফোঁটা থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy