Advertisement
E-Paper

কাজের মানুষ, বলছেন সবাই

শহরের ব্যস্ততম বিশ্ব সিংহ রোড থেকে ভবানী চৌপথী, কালিকাদাস রোড থেকে কালিঘাট রোড—যে দিক দিয়েই প্রয়াত সাংসদ রেণুকা সিংহের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে সর্বত্র রাস্তার দু’ধারে ভিড় ভেঙে পড়ে বাসিন্দাদের।

কোচবিহারের প্রয়াত সাংসদ রেণুকা সিংহকে শ্রদ্ধা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ -সহ দলের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের। — হিমাংশুরঞ্জন দেব

কোচবিহারের প্রয়াত সাংসদ রেণুকা সিংহকে শ্রদ্ধা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ -সহ দলের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের। — হিমাংশুরঞ্জন দেব

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩৮
Share
Save

শহরের ব্যস্ততম বিশ্ব সিংহ রোড থেকে ভবানী চৌপথী, কালিকাদাস রোড থেকে কালিঘাট রোড—যে দিক দিয়েই প্রয়াত সাংসদ রেণুকা সিংহের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে সর্বত্র রাস্তার দু’ধারে ভিড় ভেঙে পড়ে বাসিন্দাদের।

দলের প্রয়াত সাংসদকে শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন কোচবিহারে আসেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। সুব্রতবাবু বিকেলে কোচবিহারে পৌঁছন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ বাদে অভিষেক আসেন। সাংসদের বাড়ি লাগোয়া ভারত ক্লাবের মাঠে রেণুকাদেবীর মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। সুব্রতবাবু বলেন, “অত্যন্ত সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। শেখার আগ্রহও ছিল খুব। লোকসভায় বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনতেন।’’ তিনি জানান, কোচবিহারের উন্নয়নেও রেণুকা সচেষ্ট ছিলেন। মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তিনি বলেন, ‘‘এতে দলের ক্ষতি হল।” রাতেই সাংসদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সাংসদের শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আমরা মর্মাহত।’’ বনমন্ত্রী বিনয়বাবু বলেন, “এতে দলের ক্ষতি হল।” কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল চৌধুরী ও জলপাইগুড়ির তৃণমূল সাংসদ বিজয় বর্মন, বিজেপির কোচবিহার জেলা নেতা হেমচন্দ্র বর্মন, নিত্যানন্দ মুন্সীও রেণুকাদেবীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান। কোচবিহারের প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদ নৃপেন রায় বলেন, “ওঁকে দিদি বলে ডাকতাম। খুব দুঃখজনক ঘটনা।”

বুধবার রাতে কোচবিহার গুঞ্জবাড়ি এলাকার বাড়িতে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন রেণুকাদেবী। তড়িঘড়ি তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, রাখী উৎসব ঘিরে প্রতিবছর তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা উৎসব পালন করেন। তিনি বলেন, “এবারে সাংসদের অকাল প্রয়াণে সবাই শোকস্তব্ধ। তাই রাখী উৎসব আর পালন করা হয়নি।” কোথাও মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। কোথাও আগাম রাখী কিনে নেওয়া হয়েছিল প্রস্তুতি। মঞ্চ পড়ে রইল মঞ্চের মতো। রাখী পড়ে রইল ঘরে। সাংসদকে শেষ বিদায় জানাতে পা মেলালেন সবাই।

Renuka Singh Respect

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy