Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
অভিযোগ বড়গিলায়

কোর্টের শর্ত মানেনি গ্রেটার

চুল্লি ব্যবহার সহ একাধিক অভিযোগ তুলে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। শনিবার বিকেলেই কোচবিহারের বড়গিলায় গ্রেটারের অনুষ্ঠান শেষ হয়। তারপরেই জেলা প্রশাসনের তরফে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫১
Share: Save:

চুল্লি ব্যবহার সহ একাধিক অভিযোগ তুলে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। শনিবার বিকেলেই কোচবিহারের বড়গিলায় গ্রেটারের অনুষ্ঠান শেষ হয়। তারপরেই জেলা প্রশাসনের তরফে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ বহু ক্ষেত্রেই মানেনি গ্রেটার। প্রশাসনের দাবি, বড়গিলায় পাঁচ থেকে দশ হাজার লোকের জমায়েত করা হয়। সেখান থেকে তিনশো পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে তাঁদের জন্য রান্নার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে কোনও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাও ছিল না। নারায়ণী সেনা সেখানে পতাকা উত্তোলন করে। আলাদা রাজ্যের দাবিতে সোচ্চার হয় জিসিপিএ সমর্থকরা। রাতেও মঞ্চের সামনে জমায়েত ছিল।

শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ, সেখানে শৌচাগারের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। খোলা জায়গায় শৌচকর্মের ব্যবস্থা করা হয়। কোনও অনুমতি ছাড়াই জাতীয় সড়ক সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অনুষ্ঠানের তোরণ তৈরি করা হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টার মধ্যে সদর মহকুমাশাসকের দফতরে পাঁচ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও দুপুর আড়াইটার পরে ওই টাকা জমা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “যা জানানোর উচ্চ আদালতে জানাব।” একই কথা কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবালের। গ্রেটার নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই অনুষ্ঠান করেছেন। সংঠনের সভাপতি নির্মল রায় বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই অনুষ্ঠান হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।” গ্রেটার নেতৃত্বের দাবি, অনুষ্ঠানের জায়গায় রান্নার কোনও ব্যবস্থা হয়নি।

শুক্রবার কোচবিহারের বড়গিলায় বীর চিলা রায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রেটার। শনিবারও ওই অনুষ্ঠান হয়। গ্রেটারের ওই সভার অনুমতি রাজ্য প্রশাসন দেয়নি। এর পরেই উচ্চ আদালতে আবেদন জানায় গ্রেটার। ডিভিশন বেঞ্চের শর্তসাপেক্ষে শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠানের অনুমতি পান তাঁরা। এ দিন সেখানে প্রকাশ্যে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সেই সমাবেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসএস অহলুওয়ালিয়া উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তিনি অবশ্য মঞ্চে হাজির ছিলেন না। তিনি বার্তা পাঠান। সেই বার্তা পড়ে শুনিয়ে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা নমিতা বর্মন। তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে চিঠি এসেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদের শুভেচ্ছা পাঠান।” সেখানে কোচবিহার জেলার বিজেপি নেতা হেমচন্দ্র বর্মন, উৎপলকান্তি দেব হাজির ছিলেন। কিন্তু সভায় গ্রেটার সুপ্রিমো অনন্ত মহারাজ হাজির ছিলেন না। নির্মলবাবু বলেন, “মহারাজা ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় সভায় যোগ দিতে পারেননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Greater cooch behar people's association
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE