Advertisement
০৪ মে ২০২৪

বিদ্যুতের খুঁটি থেকে উদ্ধার বধূর দেহ

বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ঝুলন্ত বধূর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বধূকে খুন করে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মালদহের চাঁচলের সতি নয়াটোলা এলাকায় সোমবার সকালে বিদ্যুতের খুঁটিতে ওই বধূর দেহ ঝুলতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ০২:১২
Share: Save:

বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ঝুলন্ত বধূর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বধূকে খুন করে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মালদহের চাঁচলের সতি নয়াটোলা এলাকায় সোমবার সকালে বিদ্যুতের খুঁটিতে ওই বধূর দেহ ঝুলতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ জানায়, মৃতার নাম আমিনা বিবি (২৯)। ঘটনার পরেই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সোমবার দুপুরে মৃতার পরিবারের তরফে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ আটজনের নামে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ জানানো হয়েছে। চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমিনা বিবির ১৩ বছর আগে সতি এলাকার আসরাফুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয়! তাদের নাবালক দুই ছেলেমেয়েও রয়েছে! আসরাফুল এলাকায় দিমজুরি করা ছাড়াও ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেও যান। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, আসরাফুল প্রায় নিয়মিত মদ খেয়ে স্ত্রীর উপরে অত্যাচার চালাতেন। রোজগার না থাকায় স্ত্রীর অলঙ্কারও তিনি বেচে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু আমিনার বাবা বেঁচে থাকতেই মেয়ের নামে পাঁচ কাঠা জমি দিয়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই জমি বিক্রি করে তাকে টাকা দেওয়ার জন্য হামেশাই স্ত্রীর উপরে জোরাজুরি করতেন আসরাফুল বলে অভিযোগ! আমিনা রাজি না হওয়ায় তাকে মারধরও করা হত বলে অভিযোগ। তা নিয়ে আগে এলাকায় সালিশিও হয়েছে। কিন্তু তার পরেও নির্যাতন কমেনি।

রবিবার রাতেও ওই বাড়ি থেকে ঝগড়ার শব্দ পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। তারপরেই এদিন সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বিদ্যুতের খুঁটিতে আমিনার দেহ ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। আমিনা আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করলেও পরে পরিবারের লোকেরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।

বিদ্যুতের খুঁটিতে যেভাবে ওই বধূর দেহ ঝুলছিল তাতে তাকে খুন করে ঝোলানো হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশও। এদিন সকালে প্রতিবেশীদের কাছে মেয়ের মৃত্যুর কথা জেনে চন্দ্রপাড়া থেকে সেখানে যান মা রেণুকা বেওয়া। তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে মেয়ের দেহ খুঁটিতে ঝুলছিল তা দেখে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হয় না। মেয়ের নামে থাকা পাঁচ কাঠা জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য মেয়ের উপরে জামাই সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নির্যাতন চালাত। মেয়ে রাজি না হওয়ায় ওকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE