Advertisement
E-Paper

অ্যাকাউন্টে টাকা থেকেও খেলার আয়োজন ধারে

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। অথচ নোট বাতিলের পর সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকার বেশি তোলা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার ধারদেনা করে জেলার ন’টি ব্লকের সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে জেলা স্তরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩০

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। অথচ নোট বাতিলের পর সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকার বেশি তোলা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার ধারদেনা করে জেলার ন’টি ব্লকের সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে জেলা স্তরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কর্তৃপক্ষ।

এ দিন গোয়ালপোখর-২ ব্লকের শকুন্তলা হাইস্কুল মাঠে জেলার ১৭টি সার্কেলের ৬টি জোনের ১২০টি প্রাথমিক স্কুলের নির্বাচিত ২০০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। পড়ুয়ারা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই প্রতিযোগিতার ২৮টি বিভাগে অংশ নেবে।

সংসদের চেয়ারম্যান জাহিদ আলম আরজুর দাবি, প্রায় এক সপ্তাহ আগে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে প্রতিযোগিতা আয়োজনের খরচ বাবদ ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত টাকাই সংসদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সংসদের হাতেও পর্যাপ্ত টাকাও রয়েছে।

কিন্তু গত এক সপ্তাহে প্রতিযোগিতার খরচ বাবদ সংসদ কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্ক থেকে ২৪ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘‘২৪ হাজার টাকায় পুরো প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা বাজার থেকে ধারদেনা করে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এরপর থেকে প্রতি এক সপ্তাহ অন্তর ব্যাঙ্ক থেকে ২৪ হাজার টাকা করে তুলে পাওনাদারদের ধারদেনা মেটানো হবে।’’

সংসদের দাবি, ব্যাঙ্কের থেকে পাওয়া ২৪ হাজার টাকায় ওই স্কুলমাঠে প্যান্ডেল, শিবির, পড়ুয়াদের টিফিন ও খেলাধূলার সামগ্রীর একাংশ কিনতেই ফুরিয়ে গিয়েছে।

এদিকে, শনিবার বিকালের মধ্যে জেলার ন’টি ব্লক থেকে বাসভাড়া করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী পড়ুয়াদের শকুন্তলা হাইস্কুলে নিয়ে গিয়েছেন সংসদ কর্তৃপক্ষ। সংসদ সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের এ দিন সন্ধ্যায় টিফিন হিসেবে ডিম, পাউরুটি ও কলা দেওয়া হয়। রাতে তাদের ভাত, ডাল, সব্জি ও ডিমের কারি খাওয়ানো হয়েছে। রবিবার সকালে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে পড়ুয়াদের প্রাতরাশ দেওয়া হবে। দুপুরে পড়ুয়াদের পাশাপাশি তাদের স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, অতিথি সহ উদ্যোক্তাদের সবাইকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন সংসদ কর্তৃপক্ষ। এরপর পড়ুয়াদের সন্ধ্যার মধ্যে ফের বাসে চাপিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।

চেয়ারম্যানের দাবি, টাকার অভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাল, ডাল, কাঁচা সবজি, মাংস, তেল, মশলা, ময়দা সহ বিভিন্ন সামগ্রী বাকিতে কেনা হয়েছে। গাড়িভাড়াও বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতার খরচ বাবদ সংসদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ী চেকের বিনিময়ে টাকা নিতে রাজি হননি।’’

Banks cash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy