নিজের নামে জমির এখনও জমির কাগজ পাননি আজগর আলি। অনেক লড়াইয়ের পরে স্কুলে ভর্তি হলেও পড়তে কুপির আলোই ভরসা জেহাদ হোসেন ওবামার। জরিনা এখনও দেশই পেল না।
আজ, খুশির ঈদে সেই না পাওয়ার বেদনাই যেন চেপে বসেছে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের মনে। কারও চোখে জল। কারও কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। ছিটমহল বিনিময়ের পরেও তাঁদের জীবন তেমন যেন বদলায়নি। অনেকেই বলেন, “যেমন ছিলাম, তেমনই আছি। জমিগুলো নিয়ে বরং অনিশ্চয়তা বেড়েছে।” তাঁরা ভোটার কার্ড, জব কার্ড, রেশন কার্ড পেয়েছেন।
সাবেক ছিটমহলগুলির জন্য ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “সাবেক ছিটমহলে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।” রেশন পুজোর আগেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ এবং হলদিবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্পের তাঁদের স্থায়ী পুনর্বাসনে বরাদ্দ হয়েছে।
কিন্তু বেলাল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, ত্রাণশিবিরের বাসিন্দা ওসমান গনিরা জানান, ঈদের দিনে সেমাই আর মাংসেরও আয়োজন করে উঠতে পারেননি। সরকারি কোনও সাহায্য মেলেনি। ময়দা, চিনি, সর্ষের তেল বাজার থেকে কিনতে হয়েছে। কেরোসিন তিন গুণ দামে কিনতে হয়েছে। এখনও বিদ্যুৎ আসেনি গ্রামে। জেনারেটর ভাড়া করার ক্ষমতা নেই তাঁদের। ছোট্ট ওবামা বলে, কুপির আলোতে পড়তে পারিনা। ঈদে যদি আলো জ্বলত কী ভাল হত!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy