করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার প্রথম দিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভ্যাকসিনেশন আধিকারিক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এক মহিলা। শনিবার সকালেই হায়দরাবাদ থেকে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর আসে। জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে ছুটি দেন উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(৩) সংযুক্তা লিউ।
কিন্তু তিনি ছুটি না নিয়ে এ দিন হাসপাতালে সারাদিন কাজ করেছেন। ওই আধিকারিক জানান, তাঁর ভাইয়ের দেহ আসতে রবিবার হয়ে যাবে। তাই এ দিন তাই তিনি ছুটি নেননি। কাজের প্রতি তাঁর এই নিষ্ঠায় হাসপাতালের অনেকেই অভিভূত। ইতিবাচক এই ঘটনা দিয়েই এ দিন এই হাসপাতালে প্রতিষেধক পর্ব শুরু হয়। তালিকায় থাকা ১০০ জনের মধ্যে সকলেই এ দিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এসে প্রতিষেধক নিয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
এর আগে যখন প্রতিষেধক নিতে আগ্রহীদের নামের তালিকা হচ্ছিল, তখন অনেকেই ইতস্তত করছিলেন। সেই সময় একজনই সাহস করে জানিয়েছিলেন, তাঁকেই যেন প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এ দিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে প্রথম প্রতিষেধক নিলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক সেই ব্যক্তি, অশোক রায়। প্রতিষেধক দিয়ে প্রমোদনগরের বাসিন্দা অশোক বলেন, ‘‘করোনা রোগীকে নিয়ে অনেক যাতায়াত করেছি। যে ভয় ছিল, এখন তা অনেক কমে গেল। প্রতিষেধক নিতে কেউ যেন ভয় না পান।’’ অশোক প্রতিষেধক নেওয়ার পর তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য।