Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Lataguri

লাটাগুড়ির প্রকল্পে রাজ্যের তরফে কোনও বাধা নেই: বনমন্ত্রী

লাটাগুড়িতে অম্বুজা গোষ্ঠীর ‘বন্য আবাস’ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। সংস্থার তরফে পার্থ চক্রবর্তী এ দিন বলেন, “আইন মেনেই আমাদের কাজ চলছে।”

West Bengal Forest Minister Jyotipriya

বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:০৮
Share: Save:

লাটাগুড়িতে বাণিজ্যিক আবাসন নির্মাণে আপাতত তাদের দিক থেকে কোনও বাধা নেই বলে মঙ্গলবার জানাল রাজ্য বন দফতর। কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের পাঠানো চিঠির ভিত্তিতে রাজ্যের বন দফতরের বক্তব্য, লাটাগুড়ির যেখানে ‘বন্য আবাস’ নামে বাণিজ্যিক আবাসন প্রকল্পটি গড়ে উঠছে সেই এলাকাটি গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে তিন কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। এবং গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং লাগোয়া এলাকাকে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পরিবেশের দিক থেকে ‘সংবেদনশীল এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেনি। সে কারণে, ওই এলাকায় নির্মাণে বাধা নেই বলে দাবি বন দফতরের। এই বক্তব্য বন মন্ত্রককেও জানাবে দফতর।

রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আমরা জলপাইগুড়ি জেলার ভূমি দফতরকে দিয়ে এলাকাটির মাপজোক করিয়েছি, রিপোর্ট আনিয়েছি। উপগ্রহের মাধ্যমে ছবিও তুলিয়েছি। যে এলাকায় বাণিজ্যিক নির্মাণ হচ্ছে সেটি গরুমারার জঙ্গল থেকে তিন কিলোমিটারের বেশি দূরে। সে কারণে ওখানে নির্মাণে বন দফতরের তরফে কোনও বাধা নেই।”

লাটাগুড়িতে অম্বুজা গোষ্ঠীর ‘বন্য আবাস’ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। সংস্থার তরফে পার্থ চক্রবর্তী এ দিন বলেন, “আইন মেনেই আমাদের কাজ চলছে।” বন দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ‘বন্য আবাস’-এর কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তার ব্যাখ্যাও এ দিন বনমন্ত্রী দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ির ভূমি দফতরের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। ওরা যখন খতিয়ে দেখছিল তখন কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। সে খতিয়ে দেখার কাজ হয়ে গিয়েছে।”

লাটাগুড়ির এই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের বনমন্ত্রকে নালিশ করেছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তার ভিত্তিতে বন মন্ত্রক থেকে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চায়। এ দিন বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের রিপোর্টে আবাসন নির্মাণে কোনও ত্রুটি মেলেনি বলেই উল্লেখ থাকছে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, পরিবেশের দিকে ‘সংবেদনশীল এলাকা’ চিহ্নিত হলে তার থেকে নির্দিষ্ট কিছু কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা যায় না। কিন্তু গরুমারা তেমন এলাকা নয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারই গরুমারাকে তেমন চিহ্নিত করেনি। সে কারণে নির্মাণে বাধা নেই।

তবে রাজ্যের এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। এ দিন শঙ্কর বলেন, “ঠিক আছে। রাজ্য এই রিপোর্ট পাঠাক। তার পরে দেখা যাক, বন মন্ত্রক কী সিদ্ধান্ত নেয়।” তিনি বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই জানতে চাইছি, প্রকল্পটি গড়ে উঠলে পরিবেশে সামগ্রিক কী প্রভাব পড়বে সেটা যাচাই করে দেখা হয়েছে কি না এবং জমি কী উদ্দেশ্যে কেনা হয়েছিল এবং কী কাজে ব্যবহার হচ্ছে তা প্রকাশ্যে আনা হোক। আমরা বন দফতরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবুজ আদালতে দ্বারস্থ হব।”

জেলা ভূমি দফতরের বক্তব্য, ব্যক্তিগত জমি কিনেছিল নির্মাণকারী সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী, জমির চরিত্র বদলও হয়েছে। বাণিজ্যিক কাজে জমি ব্যবহারে নিষেধ লাটাগুড়ির প্রকল্পে নেই বলে ভূমি দফতরেরও দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lataguri Jungle Safari
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE