পরিদর্শনে এসে হলদিবাড়িকে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনে পরিণত করার আশ্বাস দিলেন ডিআরএম। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হলদিবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগের ব্যাপারে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরে ডিআরএমের আশ্বাসে আশাবাসী স্থানীয় বাসিন্দারা।
রবিবার হলদিবাড়ি স্টেশনে পরিদর্শনে আসেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম উমাশঙ্কর সিংহ যাদব। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার হলদিবাড়ি স্টেশন এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেললাইন পাতা এবং হলদিবাড়ি স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৩১ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। হলদিবাড়ি স্টেশনের চেহারা পাল্টে যাবে। এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনে পরিণত হবে। এখানে ফুডপ্লাজা, পার্ক সবকিছু নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ থেকে ট্রেন এসে দাঁড়াবে। তার জন্যে স্টেশন বিল্ডিং, প্ল্যাটফর্ম সবকিছু নতুন করে তৈরি করা হবে।’’
হলদিবাড়ি স্টেশনের উজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করে এখনও গর্ববোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত হলদিবাড়ির সঙ্গে তদানীন্তন পাকিস্তানের রেল যোগাযোগ ছিল। স্বাধীনতার আগে হলদিবাড়ি দিয়ে সরাসরি কলকাতার যোগাযোগ ছিল। দার্জিলিং মেল তখন হলদিবাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতো। তখনকার শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে রাতে ট্রেন ছেড়ে সকালে শিয়ালদহ পৌঁছতো। একইভাবে শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে সকালে শিলিগুড়িতে আসতো। তখন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছিলনা। সেই সময় হলদিবাড়ির গুরুত্ব অনেক বেশি ছিল। কেশব সেন কলকাতা থেকে তাঁর মেয়ে সুনীতিদেবীকে নিয়ে হলদিবাড়ি স্টেশনে নেমে তিস্তা পার হয়ে কোচবিহারে গিয়েছিলেন। সুনীতিদেবীর সঙ্গে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের বিয়ে হয়। সুনীতিদেবীই হন কোচবিহারের মহারানি। এখনও সে সব গল্প প্রবীণদের মুখে মুখে ফেরে।