শিলিগুড়ির করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে আরও একটি কোভিড হাসপাতাল তৈরি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম নিয়ে তাদের পরিকাঠামো ব্যবহার করে যেমন দু’টি কোভিড হাসপাতাল শিলিগুড়িতে চলছে তেমন ভাবে নয়। স্বাস্থ্য দফতরের ভাবনা, সরকারি কোনও ভবন পেলে সেখানে পরিকাঠামো তৈরি করে নেওয়া হবে। শিলিগুড়িতে করোনা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যারা কোভিড হাসপাতালে পরিষেবা দিতে রাজি তাঁদের তালিকা করা হয়েছে। নতুন কোভিড হলে সেখানেও তাঁদের কাজে লাগানো হবে। তাতে অনেক কম খরচে পরিষেবার ব্যবস্থা করা যাবে।
উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ করে উপসর্গযুক্ত রোগীদের কথা ভেবে শিলিগুড়িতে আরও একটি কোভিড হাসপাতাল তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। সরকারি কোনও ভবনে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।’’ প্রাথমিকভাবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ছ’শোর উপরে। এখনও দুশোর বেশি চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে সাময়িক ভাবে নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে সেখানে কোভিড হাসপাতাল করতে খরচ হচ্ছে প্রচুর। প্রতিটি কোভিড হাসপাতালের জন্য মাসে কোটি টাকার উপরে খরচ হচ্ছে। বেসরকারি নার্সিংহোম, হাসপাতালের যে ডাক্তার, নার্সরা কোভিড হওয়ার পরেও কাজ করছেন, তাঁদের খরচ সরকার দিচ্ছে। তার পরেও সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক দিতে হচ্ছে। তাই সরকারি কোনও ভবন পাওয়া গেলে অনেক কম খরচে ওই ধরনের হাসপাতাল চালানো সম্ভব হবে। যেমন পাহাড়ে ত্রিবেণিতে জিটিএ’র পর্যটন বিভাগের অধীনে থাকা একটি ট্যুরিস্ট লজকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে। তাই আগে থেকে খোঁজখবর করা হচ্ছে। তবে নামমাত্র খরচে কেউ বড় ভবন দিয়ে সহায়তা করলে সেখানেও করা যেতে পারে বলে স্বাস্থ্য দফতরের পরিকল্পনা।