Advertisement
২৬ অক্টোবর ২০২৪

জংশন সংস্কারে বাধা দখল, নালিশ

গত কয়েক মাসে বদলায়নি পরিস্থিতি। অভিযোগ, শিলিগুড়ি জংশনের সংস্কারে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে জবরদখল। রেল কর্তাদের দাবি, বারবার প্রশাসনকে বলেও জবরদখল সরানো যাচ্ছে না।

শিলিগুড়ি জংশন

শিলিগুড়ি জংশন

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৭
Share: Save:

গত কয়েক মাসে বদলায়নি পরিস্থিতি। অভিযোগ, শিলিগুড়ি জংশনের সংস্কারে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে জবরদখল। রেল কর্তাদের দাবি, বারবার প্রশাসনকে বলেও জবরদখল সরানো যাচ্ছে না। তা না করতে পারলে কাজই করা সম্ভব নয়।

রেলের শিলিগুড়ি জংশন এলাকার ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার প্রলয় দত্ত বলেন, ‘‘এর আগে অনেকবারই চিঠি দিয়েছি জেলা প্রশাসনকে। এ মাসেও জানিয়েছি জবরদখল ওঠাতে সাহায্য করতে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কিছুই বলা হয়নি।’’

জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবসায়ীদের নথি খতিয়ে দেখে তবেই যা করার করা সম্ভব। গতবছরই উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে এনজেপি স্টেশনের উপর চাপ কমাতে শিলিগুড়ি জংশনের যাত্রী পরিষেবা বাড়ানো হবে। যাতে জংশন থেকেও কিছু দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে তার জন্যও পরিকল্পনা করে রেল। রেল বোর্ডের তরফে ৩০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু পার্কিং এলাকা উন্নত করার কাজ শুরু করেও তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

রেলের দাবি, রেলসুরক্ষা বাহিনীর থানার পাশে প্রায় ৯ বিঘে জমির উপর সরিয়ে নিতে হবে পার্কিং এলাকা। কারণ, বেশি ট্রেন চালু হলে হিলকার্ট রোড থেকে স্টেশনে ঢুকতে যে চওড়া রাস্তা দরকার, তা তৈরি করতে বাধা প্রায় ১২৫ জন জবরদখলকারী। ৬৫ জন হকার রেলের দেওয়া স্টলে ব্যবসা করছেন। তাদের পুনর্বাসন রেলই দেবে বলে জানিয়েছেন কর্তারা। এলাকার ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করছেন, তাঁদের ওঠালে পুনর্বাসন দিতে হবে।

জেলাশাসক জয়সী দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা চিঠি পাওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছি। পুরসভার লাইসেন্স নিয়ে অনেক ছোট ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন বলে জানতে পেরেছি। পুরো বিষয়টি এবং নথি খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।’’ গত মাসেই জবরদখলকারীদের নোটিশ দিয়েছিল রেল। তার প্রেক্ষিতে কয়েকজন ব্যবসায়ী আদালতে মামলাও করেছে বলে জানা গিয়েছে।

একটি প্ল্যাটফর্ম সংস্কার করে চালু করা আর জংশন ভবন এবং সামনের লাউঞ্জে কিছু সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের একটি বসে যাওয়া স্টিম ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই লাউঞ্জের মাঝখানে বেদিতে এনে বসানো হয়েছে। জংশনে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ চলছে। এই মাসেই তা চালু করে দিতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। লাউঞ্জ থেকে একটি ফুট ওভার ব্রিজ চালু হওয়ার কথা প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত। তবে সেটি তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুরসভা ব্যবসার নথিভুক্তকরণ শংসাপত্র দেয় মাত্র। তার সঙ্গে ব্যবসার জায়গা আইনি না অবৈধ তার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Illegal Occupancy Siliguri Junction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE