Advertisement
১৭ মে ২০২৪

শিরোপা দখলের লড়াইয়ে মুখোমুখি হুগলি-শিলিগুড়ি

আজ রবিবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে রাজ্য সেরা হওয়ার লক্ষ্যে মুখোমুখি হুগলি ও শিলিগুড়ি। আন্তঃজেলা সাব জুনিয়র নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় প্রথম বার ফাইনালে উঠে উত্তেজনায় ফুটছেন খেলোয়াড় থেকে ক্রীড়া কর্তারা।

সংগ্রাম সিংহ রায়
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৫ ০২:৪৫
Share: Save:

আজ রবিবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে রাজ্য সেরা হওয়ার লক্ষ্যে মুখোমুখি হুগলি ও শিলিগুড়ি। আন্তঃজেলা সাব জুনিয়র নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় প্রথম বার ফাইনালে উঠে উত্তেজনায় ফুটছেন খেলোয়াড় থেকে ক্রীড়া কর্তারা। হতে পারে সাব জুনিয়র, কিন্তু টানটান লড়াইয়ের সমস্ত রসদই মজুদ। এই আগে একাধিক বার অংশ নিলেও ফাইনাল পর্যন্ত ওঠা হয়ে ওঠেনি। তাই এ বার শুধু ফাইনাল নয়, কাপ ঘরে তোলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শিলিগুড়ির কোচ ও ক্রীড়াপ্রেমীরা। সম্প্রতি স্কুল ফুটবলেও একাধিক বিভাগে রাজ্য স্তরে খেলেছে শিলিগুড়ি। এমনকী জাতীয় স্তরেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দু’টি স্কুল। শহরের ফুটবলের ক্রমশ উন্নতিতে আশার আলো দেখছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।

সেমি ফাইনালে কোচবিহারকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী শিলিগুড়ির কোচ সঞ্জীব দেব। হুগলির দলটি শুক্রবারই রাতে শহরে এসে পৌঁছেছে। ফলে তাঁদের সম্বন্ধে কোনও ধারণা নেই বলে জানালেন তিনি। তবে হুগলির দলটি জিতে যখন এস‌েছে, তখন তাঁদের সমীহ করতে হবে বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, এতে যেমন অসুবিধা আছে, তেমনই উল্টো দিক থেকে সুবিধাও রয়েছে বলে তাঁর ধারণা। ‘‘আমরা যেমন অচেনা শত্রুর সঙ্গে খেলব, তেমনি ওরাও আমাদের দেখেনি। সেই সুবিধাটাও আমরা পাব।’’ তাঁদের গোলরক্ষক বিশাল সরকারের দস্তানায় ভরসা করেই ফাইনালে ঘুঁটি সাজাতে চান বলেও জানান তিনি। স্টপারে অধিনায়ক সনু রায় আর মাঝমাঠে রাহুল দাস ও কবীর থাপা বড় ভরসা। মূলত মাঝমাঠের উপরে ভর করেই ফাইনালে খেলছে তারা তা স্বীকার করে নেন। তবে কোচের প্রধান মাথা ব্যথা আক্রমণ। মাঝমাঠের তৈরি করা বল বিপক্ষের বক্সে গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। তাই শনিবার অনুশীলনে গোলে বল রাখার অনুশীলনে জোর দিচ্ছেন তিনি।

শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ উচ্ছ্বসিত শিলিগুড়ির পারফরম্যান্সে। তিনি বলেন, ‘‘এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হবে শহরের হাজার খানেক ফুটবল খেলোয়াড়।’’ শহরের কোচিং সেন্টারগুলি থেকে বহু ফুটবলার রবিবার মাঠে হাজির থাকবে বলে তিনি জানান। পরিষদের ফুটবল সচিব মানস দের দাবি, ‘‘প্রথম বার শহরের ছেলেরা এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছে। হার-জিত যাই হোক, তাদের কাছে ভাল এবং উজ্জীবিত ফুটবল আশা করব।’’ প্রথম বার সেরা হওয়ার সুযোগ শহরের। তাই কোনও মতেই খেলা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবে না বলে জানান কবি সরকার, রবিন মজুমদারেরা।

সারা রাজ্যের ২০টি জেলাকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টি গ্রুপের খেলা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরে খেলেছে, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, চন্দননগর, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, মানভূম। ওই বিভাগ থেকে সেরা হয়েছে হুগলি। শিলিগুড়িতে বাকি দু’টো গ্রুপের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, জলপাইগুড়ি ও বর্ধমান। এই বিভাগ থেকে সেরা হয়েছে শিলিগুড়ি। রাজ্য স্পোর্টস বোর্ডের পক্ষ থেকে মিহির দাস জানান, ফাইনাল উপলক্ষে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্য জেলা স্পোর্টস বোর্ডের সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত বার এই প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছিল উত্তর চব্বিশ পরগনা, রানার্স হয় মালদহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE