ইসলামপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রীর গাড়ির প্রাক্তন চালকের খুনের ৩৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ঘটনায় কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। সোমবারও অধরা রয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ভোরে স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি সন্দেহভাজন কিছু মোবাইলের কল রেজিস্টারও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার মধ্যে কয়েকটি মোবাইল ওই চালকের আত্মীয়স্বজনদেরও। পুলিশ সূত্রে খবর, ইসলামপুর থানার পাশাপাশি ইসলামপুরের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন সেলের আধিকারিকেরাও বিষয়টি তদন্ত করছে। ঘটনার তদন্তকারী অফিসারও স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন সেলের এক সাব-ইন্সপেক্টর। ইসলামপুর থানার আইসি মুকসেদুর রহমান বলেন, ‘‘মোবাইল নম্বরের কল রেজিস্টারের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’
শনিবার রাতে ইসলামপুর থানার লিচুবাগান সংলগ্ন রবীন্দ্রনগর এলাকাতে নিজের শোয়ার ঘরে খুন হন ইসলামপুর বিধায়ক তথা জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর গাড়ির প্রাক্তন চালক মহম্মদ সঈদ খান (৪৫)। তাঁর স্ত্রী রেখা খাতুন পাশে ঘুমালেও তিনি কোন কিছুই টের পাননি। তবে রাত ২টো নাগাদ স্বামীর আর্তনাদ শুনে উঠে চিত্কার করেন রেখা। এলাকার লোকেরা শুনতে পেয়ে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সঈদ খানকে ধারাল অস্ত্র দিয়েই খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তারা কুকুর দিয়ে তদন্ত চালানোর সময় কুকুরটি বাড়ির পেছন দিক দিয়ে স্টেশনের দিকে গিয়েছিল। কাজেই দুষ্কৃতীরা খুন করার পরে সেই রাস্তা ব্যবহার করে থাকতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। কী কারণে খুন তা এ মুহূর্তে স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চালকের বাড়িতে কাদের যাতায়াত ছিল, তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সঈদ খানের ছেলেমেয়েদেরও জেরা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy