Advertisement
০৩ মে ২০২৪

বাম-কংগ্রেস কর্মী বিরোধ মেটাতে সভা

উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার বিধানসভা এলাকার নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কাটাতে যৌথ কর্মিসভা করল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। রবিবার দুপুরে জেলা তৃণমূল সভাপতি, ইটাহারের প্রার্থী অমল আচার্যের বাড়ির অদূরে ইটাহার হাইস্কুল চত্বরে আয়োজিত ওই কর্মিসভায় একই মঞ্চ থেকে যৌথ নির্বাচনী প্রচার চালান রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম, জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অপূর্ব পাল, জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ, ইটাহারের সিপিআই প্রার্থী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় সহ জেলা কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের নেতারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৬ ০২:২২
Share: Save:

উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার বিধানসভা এলাকার নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কাটাতে যৌথ কর্মিসভা করল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।

রবিবার দুপুরে জেলা তৃণমূল সভাপতি, ইটাহারের প্রার্থী অমল আচার্যের বাড়ির অদূরে ইটাহার হাইস্কুল চত্বরে আয়োজিত ওই কর্মিসভায় একই মঞ্চ থেকে যৌথ নির্বাচনী প্রচার চালান রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম, জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অপূর্ব পাল, জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ, ইটাহারের সিপিআই প্রার্থী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় সহ জেলা কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের নেতারা।

এদিন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের তরফে জোটপ্রার্থী হিসেবে শ্রীকুমারবাবুর সমর্থনে প্রচার চালানো হয়। কর্মিসভায় সেলিমবাবু ও মোহিতবাবু বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানান, সাধারণ মানুষ তৃণমূল সরকারের অপশাসন ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন। তৃণমূলের খুন, ধর্ষণ, তোলাবাজি, সন্ত্রাস ও চাকরি দেওয়ার নাম করে ঘুষ নেওয়ার বিরুদ্ধে দিকে দিকে মানুষ প্রতিবাদ গড়ে তুলেছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা একজোট হয়ে সিপিআই প্রার্থী শ্রীকুমারবাবুর সমর্থনে বাড়ি বাড়ি পাড়ায় পাড়ায় একজোট হয়ে প্রচারে নেমে পড়ুন।’’

ফ্রন্ট সূত্রের খবর, দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ইটাহারের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক অমলবাবু ইটাহারের বিভিন্ন এলাকায় জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছেন। ২০১১ সালে তৃণমূল প্রার্থী অমলবাবু তত্কালীন সিপিআইয়ের বিদায়ী বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমারবাবুকে হারিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু সেই তুলনায় কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট এই এলাকায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্টের তরফে সিপিআইয়ের টিকিটে শ্রীকুমারবাবুকে ইটাহারে জোটপ্রার্থী করা হলেও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীরা সে ভাবে শ্রীকুমারবাবুর হয়ে প্রচারে নামেননি। বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ১৬ মার্চ দুই দলের নিচুতলার কর্মীদের জোটবার্তা দিতে রায়গঞ্জে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জেলা নেতারা এক সঙ্গে রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী মোহিতবাবুর সমর্থনে দেওয়াল লিখন করে জেলায় যৌথ ভাবে প্রচারের সূচনা করেন।

কিন্তু তারপরেও শ্রীকুমারবাবুর সমর্থনে কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের সে ভাবে প্রচারে নামতে দেখা যায়নি! তাই এদিনের সভার আয়োজন করা হয় বলে দুই দলের অন্দরের খবর।

এদিনের কর্মিসভায় সিপিএম সাংসদ সেলিমবাবু ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিতবাবু একই সুরে তৃণমূল ও বিদায়ী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে দলের নিচুতলার কর্মীদের একজোট করার চেষ্টা চালান। তাঁরা বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে এরাজ্যে চোরেদের সরকার চলেছে। এই সরকারের আমলে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ তুলেছেন। অমলবাবুও তার বাইরে ছিলেন না বলে আমাদের ধারণা। তাই এসবের প্রতিবাদে আপনারা একজোট হয়ে শ্রীকুমারবাবুকে জয়ী করুন।’’

অমলবাবুর দাবি, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীরা ক্ষমতা দখলের স্বার্থে নীতি আদর্শহীন এই ঘোঁটকে মানতে পারছেন না। এটা দিল্লি ও আলিমুদ্দিনের জোট হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ আঁচ করতে পেরেই বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নেতারা এক মঞ্চে বসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার চালিয়ে এ দিন জোটনাটক করলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Left congress meeting settle disputes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE