পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা, ধৃত

সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে বিবাদের জেরে স্ত্রী, মেয়ে এবং শাশুড়িকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার থিঙ্গুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে পাট খেতে লুকিয়ে থাকা অভিযুক্ত সুরেশ রায়কে ধরে গণপিটুনি দেয় বাসিন্দারা। রাতেই অগ্নিদগ্ধ চন্দনা রায়(২৮), তাঁর মেয়ে পলি (১০) এবং চন্দনার মা লক্ষ্মী সরকারকে(৫০) গুরুতর জখম অবস্থায় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখান থেকে তাদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুরেশকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ।

এগারো বছর আগে দেউরিয়ার বাসিন্দা সুরেশের সঙ্গে চন্দনার বিয়ে হয়। কয়েক মাস পর স্ত্রীকে ছেড়ে তিনি নদিয়া চলে যান। অভিযোগ, সম্প্রতি শাশুড়ি লক্ষ্মীদেবী বসত বাড়ি ও ৮ শতক জমি বিক্রি করবেন খবর পেয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসে সুরেশ। বুধবার বিকেলে নদিয়া যাচ্ছেন বলে চলে যান সুরেশ।

গভীর রাতে প্রতিবেশীরা চন্দনাদের বাড়িতে আগুন দেখতে পান। তাঁরাই ওই তিনজনকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহের তির যায় জামাই সুরেশের দিকে। সকালে পাট খেতে সুরেশকে লুকিয়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা ধরে ফেলেন। আগুন লাগানোর কথা সুরেশ স্বীকার করে বলে এলাকাবাসীর দাবি। এরপরই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।