E-Paper

টাকা পেয়েছেন বিজেপি কর্মীরাও, তা নিয়ে চর্চা দলে

একশো দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি বললেন, “দুর্নীতি তো চলছেই। শুধু জামা পাল্টায়, আর তো কিছু পাল্টায়। সেখানে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা যাতে বঞ্চিত না হন, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৩
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

কোচবিহার ২ ব্লকের আমবাড়ির বাসিন্দা পীয়ূষ দেবনাথ। তিনি বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সহ-সভাপতি। একশো দিনের কাজে মাগুর মাছ চাষ প্রকল্পে নাম ছিল তাঁর। তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকার কিছু বেশি জমা পড়েছে। পীযূষ বলেন, “ওই টাকার অপেক্ষায় ছিলাম। তা অনেক কাজেই লাগবে। অসুস্থতা রয়েছে। চিকিৎসার কাজে সহায়ক হবে।”

একশো দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি বললেন, “দুর্নীতি তো চলছেই। শুধু জামা পাল্টায়, আর তো কিছু পাল্টায়। সেখানে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা যাতে বঞ্চিত না হন, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

শুধু পীযূষ নন, ওই গ্রামের আরও বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীর অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে একশো দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা। আর তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, একশো দিনের টাকা পেয়ে বিজেপি কর্মীরা না আবার শাসক দল-মুখী হন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সে জন্যে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণ বলেন, “একশো দিনের কাজের টাকা তো সাধারণ মানুষেরই পাওয়ার কথা। সেখানে দেখা যাচ্ছে কিছু তৃণমূলের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ লোকেরাই তা বেশি পাচ্ছেন। প্রত্যেকের বাড়িতে সবার জবকার্ড এবং সবাই কাজ পেয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে। কমিশনও চালু রয়েছে। মানুষ সব বুঝতে পাচ্ছেন। ওই টাকা দিয়ে কাউকে কেনা যাবে না।”

বিজেপির তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা দাবি করেছেন, ওই টাকা বণ্টনে দুর্নীতি হচ্ছে। তার কিছু তথ্য তাঁদের হাতে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “একটি পরিবারের নামে পঁচিশ হাজার টাকা ঢুকেছে। তার মধ্যে দশ হাজার টাকা পৌঁছেছে তৃণমূলের দলীয় তহবিলে। ওই পরিবারের সদস্যরা কাজ না করেই টাকা পেয়েছেন, তাই যতটুকু পেয়েছেন তাতেই তাঁরা সন্তুষ্ট। পুরো বিষয়টিতেই দুর্নীতি হচ্ছে।”

তৃণমূল অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন। তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রেখেছে। তাই মানুষ স্পষ্ট অবস্থান নিচ্ছেন। তাতে বিজেপি ভয় পেয়েছে।”

সোমবার থেকেই কোচবিহারে একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করে। মঙ্গলবারও তা অব্যাহত ছিল। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের জন্য প্রায় ২২১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ১ মার্চের মধ্যে ওই টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy