নির্বাচনী বিধিনিষেধ জারির পর ‘কো-অপ্ট’ পদ্ধতিতে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ১২ জন সদস্যকে বাছতে বৈঠক ডাকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ক্রীড়া পরিষদের ওই বৈঠক রয়েছে। নির্বাচন পরিস্থিতিতে এ ভাবে বৈঠক ডাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে জোটের প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য মনে করেন যেহেতু বিভিন্ন ক্লাব এবং তার সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সে কারণে এই পরিস্থিতিতে ওই বৈঠক না করলেই ভাল হত।
তা ছাড়া, মহকুমাশাসক শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি। মহকুমাশাসক রাজনবীর সিংহ কপূর অবশ্য বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানাননি। মডেল কোড অব কনডাক্ট সেলের আধিকারিকদের বিষয়টি দেখতে বলছি।’’ মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের একটি সূত্রই জানিয়েছে, ক্রীড়া পরিষদের পরিচালন কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন কমিটি গড়তে হবে। সেই মতো ইতিমধ্যেই মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের অধীনে থাকা ৩৩ টি ক্লাব থেকে ২৮ জনকে একজিকিটিভ কমিটির সদস্য হিসাবে বাছা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়াম কমিটি, বিদ্যালয় ক্রীড়া সংস্থা-সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো প্রতিনিধি, মহকুমাশাসক, পূর্ত দফতরের বাস্তুকার মিলিয়ে ১২ জন সরাসরি কমিটিতে থাকেন। প্রতিষ্ঠানগুলির তরফেও এই ব্যক্তিদের ঠিক করে পাঠানো হয়। ৪০ জন এই সদস্যরা কো-অপ্ট পদ্ধতিতে ১২ জন সদস্যকে বাছবেন। তার মধ্যে এক জন আইনজীবী, একজন চিকিৎসক এবং আর দশজন থাকবেন। পরিষদের বিদায়ী কমিটির সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘ওই বৈঠক নির্বাচনী বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ার কথা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy