প্রশাসনের তরফে নিষেধ করায় শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের পরিচালন সমিতি গঠন করতে কো-অপ্ট পদ্ধতিতে সদস্য বাছার বৈঠক ভেস্তে গেল। মঙ্গলবার মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের নতুন কমিটি গড়াতে কো-অপ্ট পদ্ধতিতে ক্রীড়াপ্রেমী বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে ১২ জনকে বাছা হয়। কমিটিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়াম কমিটি, ফুটবল অ্যাকাডেমির প্রতিনিধি, মহকুমাশাসকদের মতো ১২ জন সদস্য সরাসরি থাকেন। ইতিমধ্যেই ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদিত ৩৩টি ক্লাব থেকে ২৮ জন প্রতিনিধিকে বাছা হয়েছে। এই ৪০ জন সদস্য আলোচনা করে নিজেদের পছন্দমতো একজন চিকিৎসক, একজন আইনজীবী এবং ১০ জন ক্রীড়াপ্রেমীকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। তাকে কো-অপ্ট পদ্ধতি বলা হয়। কিন্তু নির্বাচন পরিস্থিতিতে ওই বৈঠক করা যাবে না বলে প্রশাসনের তরফে জানানোয় এ দিন তা স্থগিত রাখতে হল ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের। ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এ দিনের বৈঠক নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বিধিভঙ্গের অভিযোগ হয়েছে। সে কারণে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা এ দিন গিয়েছিলেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে তা না-করতে পুলিশের তরফে তাদের জানিয়েও দেওয়া হয়।
তবে ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘কো-অপ্ট পদ্ধতিতে সদস্য বাছার বৈঠক বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ে না। তবু তা নিয়ে অভিযোগ হয়েছে। সে কারণে এ দিন পুলিশ গিয়ে বিষয়টি আমাদের জানায়। প্রশাসন সমস্ত ক্ষেত্রে ক্রীড়া পরিষদকে সহায়তা করে থাকে। তাই আমরাও পুলিশ, প্রশাসনের অনুরোধ মেনে এই সময় ওই বৈঠক না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, কো-অপ্ট পদ্ধতিতে ১২ জন সদস্য বাছার জন্য এই বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে কেন বৈঠক ডাকা হয়েছে তা নিয়ে সিপিএমের নেতৃত্বের তরফে এ দিন নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। এর পরেই বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়। এ দিন মডেল কোড অব কনডাক্ট নিয়ে ওই অভিযোগের ব্যাপারে একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহকুমা ক্রীড়া পরিষদে যান।
তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনী বিধিনিষেধের মধ্যে এ ধরনের বৈঠক করে কোনও রকম পরিচালন কমিটি গঠন করা যাবে না। এমসিসি সেলের তরফে জানানো হয়েছে, মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ওই বৈঠকে পরিচালন সমিতির সদস্য বাছাকে কেন্দ্র করে ভোটারদের প্রভাবিত করার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তা ছাড়া ক্লাবগুলির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক নেতা, কর্মী, সমর্থক যুক্ত। সে কারণে নির্বাচন পরিস্থিতিতে এ ধরনের বৈঠক করা ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
তা ছাড়া পদাধিকার বলে মহকুমাশাসক ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি। তিনি বিষয়টি জানতেন না। নির্বাচন পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষেও এই বৈঠকে থাকা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy