Advertisement
০২ মে ২০২৪

লাইন দিয়েও টাকা নেই, বিক্ষোভ অবরোধ পাঙ্গায়

ব্যাঙ্ক থেকে টাকা না মেলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ হল জলপাগুড়িতে৷ এ দিন সকালে পাঙ্গায় ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের গড়ালবাড়ি-বাহাদুর শাখার সামনে প্রায় দু’ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০২:১৭
Share: Save:

ব্যাঙ্ক থেকে টাকা না মেলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ হল জলপাগুড়িতে৷ এ দিন সকালে পাঙ্গায় ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের গড়ালবাড়ি-বাহাদুর শাখার সামনে প্রায় দু’ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা৷ ম্যানেজারকেও ব্যাঙ্কের ভেতরে তাঁরা ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ৷ পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷

ওই এলাকার প্রচুর মানুষই ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের উপরে নির্ভরশীল৷ কিন্তু ব্যাঙ্কের লাইনে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়েও জমানো টাকা তুলতে না পাড়ায় এ দিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা৷ স্থানীয় বাসিন্দা ভারতী দাস বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কে আমার ত্রিশ হাজার টাকা রয়েছে৷ সংসারের সব কাজ ফেলে সকাল আটটা থেকে লাইন দিই৷ তার পরে জানতে পারি এ দিন টাকা মিলবে না৷’’ এলাকারই আর এক বাসিন্দা সুদীপ দাস বলেন, ‘‘টাকার অভাবে সংসার চলছে না৷ অথচ ব্যাঙ্কে এসেও তা মিলবে না—এটা মানা যায় না৷’’

স্থানীয় সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক খোলার সময় সকাল দশটা থেকেই রাস্তা অবরোধ শুরু করা হয়৷ ইতিমধ্যে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সেখানে পৌঁছলে তাঁকেও ব্যাঙ্কের ভেতরে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷

খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ যান ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও৷ সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সোমবার বেশি পরিমাণে টাকা দেওয়ার আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে৷

যদিও ওই ব্যাঙ্ক থেকে এ দিন গ্রাহকেরা একেবারেই কোনও টাকা পাননি, সে কথা মানতে চাননি কর্তৃপক্ষ৷ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের জলপাইগুড়ি রিজিওনাল ম্যানেজার দেবাশিস মৈত্র বলেন, ‘‘গ্রাহকেরা বেশি টাকা দাবি করেন৷ কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তাঁদের একটু কম টাকা দেওয়া হচ্ছিল৷ তার পরও তাঁরা বিক্ষোভ দেখান৷ তবে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়৷ ব্যাঙ্কের কাজকর্মও স্বাভাবিক ভাবেই হয়৷ সোমবার আরও বেশি করে টাকা দিতে আমরা চেষ্টা করছি৷’’

এ দিকে জলপাইগুড়িতে বিভন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও পুরনো নোট পরিবর্তন বন্ধ রয়েছে৷

তার ওপর ডাকঘরে গিয়েও তা না মেলায় ক্ষোভ তৈরি হয়৷ পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা বিপ্লব সেন বলেন, ‘‘অফিস করতে প্রতিদিনই আমায় চালসা যেতে হয়। অ্যাকাউন্টে খুব বেশি টাকা না থাকায় এ দিন পোস্ট অফিসে কিছু পুরনো নোট বদলাতে আসি৷ কিন্তু এখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হল সোমবারের আগে হবে না৷ এখন চালসা পর্যন্ত যাওয়ার গাড়ি ভাড়া দেওয়াই তো মুশকিলহয়ে যাচ্ছে৷’’

ডাকঘরের এক আধিকারিক জানান, পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় নোট বদলে কাউন্টার থেকে এ দিন এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়৷ প্রথম পঞ্চাশ জন গ্রাহক দু’হাজার টাকা করে নেওয়ার পরে তা শেষ হয়ে যায়৷ সোমবার ফের দেওয়া হবে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bank Money withdrawl
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE