প্রতিরোধ: মশা মারতে চলছে ধোঁয়া ছড়ানো। জলপাইগুড়ি পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে। ছবি: সন্দীপ পাল
স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদের মেয়ে আক্রান্ত হতেই এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে তৎপরতা বাড়ল জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের৷ রবিবার দিনভর শহরের ৮নম্বর ওয়ার্ডে ফগিং, স্প্রে করা, ব্লিচিং পাউডার ছেটানো হয়৷ ওই ওয়ার্ডেই চেয়ারম্যান পারিষদ সৈতক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডে স্প্রে, ফগিং করা হলেও শহরের বাকি ওয়ার্ডগুলিতে তা করা হচ্ছে না। অন্যান্য ওয়ার্ডের বাসিন্দারা শহরে ডেঙ্গি, জ্বর নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন। যদিও পুর কর্তাদের দাবি, সব ওয়ার্ডেই সমানভাবে ফগিং ও স্প্রের কাজ চলছে৷
জেলা জুড়ে ব্যাপক হারে ডেঙ্গি ছড়ালেও জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ বারবার দাবি করে আসছেন, এবছর শহরে সেভাবে ডেঙ্গি ছড়ায়নি৷ তবে গত বৃহস্পতিবার পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সৈকতবাবুর আট বছরের মেয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়৷ শনিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই শহরে রোগ সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জলপাইগুড়ি শহরে এবছর এখন পর্যন্ত ৩৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। বেসরকারি মতে সংখ্যাটা চারশোর বেশি বলে চিকিৎসকদের একাংসই মনে করছেন। পুরসভার এক কর্তার কথায়, দিনবাজার এলাকার বাসিন্দা একাধিক ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, প্রথম দিকে কিছুটা কাজ হলেও বর্তমানে শহরে ফগিং, স্প্রের কাজ নিয়মিত হচ্ছে না৷ তাতেই ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে৷ সিপিএম কাউন্সিলার প্রদীপ দে বলেন, ৮নম্বর ওয়ার্ড খবরের শিরোনামে এসেছে বলে শুধু ওই ওয়ার্ডে ফগিং হবে, আর বাকি ওয়ার্ডগুলির বাসিন্দাদের কথা ভাবা হবে না এটা তো হতে পারে না। কংগ্রেস কাউন্সিলার অম্লান মুন্সীর অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ
ঠিক মতো হলে রোগ প্রতিরোধের কাজ সঠিক ভাবে করা যেত।
যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুর কথায়, জলপাইগুড়ি শহরের সর্বত্র ফগিং, স্প্রে, ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে। সাফাই অভিযানও নিয়মিত চলছে৷ শাসক-বিরোধী উভয়ের ওয়ার্ডেই সমানভাবে কাজ হচ্ছে৷ শুধু বিরোধিতা করার জন্য পুরসভার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভি্যোগ তোলা ঠিক নয়।’’ চেয়ারম্যানের দাবি, রোগ প্রতিরোধে তাঁরা সক্রিয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy