হঠাৎই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার রাস্তায় একটি গুমটি ঘর গজিয়ে ওঠায় নিত্যদিন যানজট শুরু হতে থাকে। গুমটি সরাতে জেলা পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি লেখে। নিয়ম অনুযায়ী স্টেশন কর্তৃপক্ষ সেই চিঠি পাঠাতে পারেন না।
রেলের বিভিন্ন দফতর-বিভাগ হয়ে সেই চিঠি জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছতে সময় লেগেছিল দেড় মাস। ততদিন দুর্ভোগ চলতেই থাকে। তিন বছর আগের কথা। রেলের প্রশাসনিক এই দীর্ঘসূত্রতা কাটতে চলেছে। নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনকে ‘ডিরেক্টরেট’ মর্যাদা দিল রেল মন্ত্রক। এ বার থেকে স্টেশন কর্তৃপক্ষই পরিকাঠামো এবং পরিষেবা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গত শুক্রবার রেল বোর্ডের নির্দেশ পৌঁছেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাছে।
বর্তমানে এনজেপির সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার পার্থসারথী শীলকে প্রথম স্টেশন ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে দেশের ১২টি স্টেশনকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়। উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত এনজেপি স্টেশনও রেলের বাছাইতে ছিল। চলতি বছরের শুরুতে এই স্টেশকে এ ওয়ান হিসেবে চিহ্নিত করে ডিরেক্টর মর্যাদায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এনজেপির প্রথম স্টেশন ডিরেক্টর পার্থসারথীবাবু বলেন, ‘‘সদ্য নির্দেশ এসেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’’
এতদিন স্টেশনে কোনও পরিকাঠামো সংস্কার অথবা উন্নতির প্রয়োজন থাকতে প্রথমে এরিয়া অফিসে জানাতে হতো। সেখান থেকে প্রস্তাব যেত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার বিভাগে। বিভাগ থেকে প্রস্তাব যেত জোনের সদর দফতর মালিগাঁওতে। তার পরে সেই প্রস্তাব রেল মন্ত্রকে পাঠানমো হতো। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘নানা হাত ঘুরে যখন প্রস্তাব পাশ হতো অনেকসময় দেখা যেত হয়ত আর কোনও প্রয়োজন নেই।’’
ট্যুর অপারেটরদের সংস্থা এতোয়ার সভাপতি সম্রাট সান্যালের কথায়, ‘‘স্টেশনে নিকাশি সহ পরিষেবা সংক্রান্ত প্রচুর সমস্যা রয়েছে। আশা করছি এবার সেগুলি দ্রুত সমাধান হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy