Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ভালই আছেন তিনি, আত্মীয়দের জানাচ্ছেন দলের কর্মীরাই

ভাল আছেন বংশীবদন বর্মন। গ্রেটার কর্মীরাই এই তথ্য জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয়দের। তবে তিনি কোথায় আছেন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৬ ০২:২৩
Share: Save:

এখনও খোঁজ নেই বংশীবদনের

ভাল আছেন বংশীবদন বর্মন। গ্রেটার কর্মীরাই এই তথ্য জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয়দের। তবে তিনি কোথায় আছেন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি।

মঙ্গলবার বংশীবাবুর দাদা মধুসূধনবাবু বলেন, “বংশীবদন কোথায় আছেন তা আমরা জানি না। তবে কয়েকজন গ্রেটার সমর্থক আমাদের জানিয়েছেন, তিনি যেখানেই আছেন ভাল আছেন। সে কথাই বিশ্বাস করতে হচ্ছে আমাদের।”

পৃথক রাজ্যের দাবিতে নিউ কোচবিহার স্টেশনে লাগাতার প্রায় ৮০ ঘণ্টা রেল অবরোধের পর বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। তারপর বেশ কয়েকজন গ্রেটার নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও গত সাত দিন ধরে বেপাত্তা বংশীবাবু। তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিআইডি। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছেন সিআইডির গোয়েন্দারা।

গ্রেটারের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য ফুলেশ্বর অধিকারী বলেন, “বংশীবাবু কোথায় তা আমি জানি না। তবে অধিকার আদায়ে আমাদের আন্দোলন চলবে।” গত রবিবার রেল পুলিশের হাত থেকে ওই মামলার তদন্ত ভার নেয় সিআইডি। রেল পুলিশের ডিএসপি বিজন কুমার সিংহ বলেন, “ওই মামলা সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বংশীবদন বর্মনের কোনও খোঁজ আমরা পাইনি।” সিআইডির এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, “ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বংশীবদনবাবুর খোঁজ জারি রয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

২৩ ফেব্রুয়ারি ষখন অভিযান হয় ওই দিন রাত পর্যন্ত বংশীবাবুর মোবাইল খোলা ছিল। বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানান তিনি। একটু বেশি রাতের পর থেকেই ফোনে আর বংশীবাবুকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরেরদিন থেকে অবশ্য বংশীবাবুর মোবাইল ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। ওইদিন রাতে বংশীবাবু কোথায় ছিলেন তা নিয়ে তদন্ত করে শুরু করে রেল পুলিশ।

তদন্তকারী অফিসাররা জানান, ঘটনার পরের দিন বংশীবদনবাবুকে ধূপগুড়িতে দেখা যায়। এর পরে আর কোথাও তাঁর দেখা মেলেনি। তিনি নিম্ন অসমের দিকেও চলে যেতে পারেন বলে তদন্তকারী অফিসারদের অনেকে সন্দেহ করছেন। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাঁর গতিবিধি লক্ষ্য করে তাঁকে গ্রেফতার করার ছক কষছে সিআইডি। এ ছাড়া ওই সময়ের মধ্যে কাদের সঙ্গে ফোনে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে কল রেকর্ড ঘেঁটে তাঁদের নম্বরও হাতে নিয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। সেখানেও নজরদারি করে বংশীবদনের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কোথায় যেতে পারেন সে ব্যাপারে সংগঠনের মধ্যে যারা তাঁর ঘনিষ্ঠ, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। সংগঠনের সহকারি সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা ভবেশ দাস বংশীবদনবাবুর সব থেকে ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশ মনে করছে। ঘটনার দিনই ভবেশবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সিআইডি অফিসাররা ইতিমধ্যে ভবেশবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে সূত্রের খবর।

পৃথক রাজ্যের দাবিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নিউ কোচবিহার ষ্টেশনে রেল অবরোধে সামিল হয় গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। প্রশাসনের একাধিক আর্জি সত্বেও আশি ঘণ্টা ধরে ওই অবরোধ চলে। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে অবরোধ তুলতে অভিযান চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে হলদিবাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দিন দুপুর পর্যন্ত বংশীবদনবাবু অবরোধস্থলেই ছিলেন। পুলিশি অভিযানের কিছু আগে সেখান থেকে বংশীবদনবাবু চলে যান বলে সিআইডি সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bangshibadan burman coochbehar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE