Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সপ্তাহভর ফাঁকাই উপাচার্যের পদ, আজ দায়িত্বে

মেয়াদ ফুরনোর পর সোমনাথ ঘোষ চলে যেতেই গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফাঁকা পড়ে উপাচার্যের পদ।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৯
Share: Save:

নবনিযুক্ত উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য এখনও দায়িত্ব গ্রহণ না-করায় এখনও কার্যত ফাঁকাই পড়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ।

মেয়াদ ফুরনোর পর সোমনাথ ঘোষ চলে যেতেই গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফাঁকা পড়ে উপাচার্যের পদ। অস্থায়ী ভাবে উপাচার্য নিয়োগ না করে সার্চ কমিটির পাঠানো নাম থেকে আচার্য নতুন উপাচার্যের নাম অনুমোদন করেন। এর পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন উপাচার্যের নাম জানিয়েও দেয় উচ্চ শিক্ষা দফতর। রাজ্যের এসএসসি বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে থাকা সুবীরেশবাবু এখনও যোগ না দেওয়ায় আর কতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের মতো পদ ফাঁকা পড়ে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুবীরেশবাবু অবশ্য জানিয়েছেন তিনি আজ, বৃহস্পতিবারই দায়িত্ব নেবেন।সুবীরেশবাবু বলেন, ‘‘এসএসসি বোর্ডের কাজ সেরে যেতে দেরি হল। বৃহস্পতিবারই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছব। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করব।’’ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারেই থাকবেন।

উপাচার্য পদে কেউ যোগ না-দিলে কর্ম সমিতির বৈঠক সম্ভব হবে না। করা যাবে না কোর্টের বৈঠকও। বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মেয়াদ সম্প্রসারণের বিষয় রয়েছে। উপাচার্য সেগুলি অনুমোদন দেন। উপাচার্য পদ ফাঁকা থাকায় ইতিমধ্যেই কয়েকজন মেয়াদ সম্প্রসারণ আটকে পড়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রই জানিয়েছে। আচার্যের অনুমোদন না-মেলায় আটকে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। নতুন উপাচার্য না যোগ দেওয়া পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়াও স্থগিত হয়ে থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ জানিয়েছেন।

কর্মসমিতিতে বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। কর্ম সমিতির বৈঠক না-হলে সেই সমস্ত ঝুলে থাকবে। তা ছাড়া রেজিস্ট্রারের পদে স্থায়ী আধিকারিক নেই। স্থায়ী আধিকারিক নেই ফিনান্স অফিসার, পরীক্ষা সমূহের নিয়ামকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে। যাঁরা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হিসাবে কাজ চালাচ্ছেন তাদের পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে উঠবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের আর্থিক অনুমোদন দেন উপাচার্যই। শিক্ষক, আধিকারিকদের ছুটির বিষয়টি মঞ্জুর করেন উপাচার্যই। আচার্য সকলের উপরে থাকলেও বস্তুত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক উপাচার্যই। তাই ওই পদে সুবীরেশবাবু যোগ দিতে বিলম্ব করলে সমস্যা বাড়বে বলেই কর্মী আধিকারিেকরা মনে করছেন।

তবে রেজিস্ট্রার লক্ষীকান্ত পাঁধী অবশ্য জানান, সোমনাথবাবু চলে যাওয়ার আগে বাকি কাজসেরে রেখে গিয়েছেন। তাই এখনও তেমন কোনও সমস্যা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE