Advertisement
০৫ মে ২০২৪
ফুলবাড়ি

তোলাবাজি নিয়ে কথা হবে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে

শিল্প এবং বাণিজ্য বিষয়ক বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির আগামী বৈঠকের বিষয়সূচিতে রয়েছে ফুলবাড়ি এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ। শিলিগুড়ির মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৫
Share: Save:

শিল্প এবং বাণিজ্য বিষয়ক বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির আগামী বৈঠকের বিষয়সূচিতে রয়েছে ফুলবাড়ি এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ। শিলিগুড়ির মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। শনিবার অশোকবাবু বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্য হলেও এটা সত্যি যে ফুলবাড়ির নামও তোলাবাজিতে জড়িয়ে গেল। তা নিয়ে আলোচনাও করতে হচ্ছে। রাজ্যের শিল্প সংস্থার আধিকারিকরা বৈঠকে থাকবেন। পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরাই আলোচনা করবেন।’’

সম্প্রতি ফুলবাড়ি এলাকার তোলাবাজিতে নাম জড়িয়েছে এলাকার প্রভাবশালী এক তৃণমূল নেতার। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের একটি রাস্তার নিম্নমানের কাজের অভিয়োগ উঠেছে পেশায় ঠিকাদার তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ টেনে অশোকবাবুর মন্তব্য, ‘‘কার কথা বলছি তা সকলেই বুঝতে পারছেন। ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অনেকেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। তৃণমূলেরও কয়েকজন আমাকে ফোন করে একান্তে আক্ষেপ করেছেন।’’ দেবাশিসবাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘তৃণমূলের কেউ তোলাবাজিতে জড়িত নয়। এলাকাতে এমন কোন ঘটনাও ঘটে না। যে কেউ যে কোনদিন এসে দেখে যেতে পারেন।’’

ঘটনাচক্রে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার বিধায়ক হলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। অশোকবাবুকে পাল্টা আক্রমণ করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতমবাবু বলেন, ‘‘তোলাবাজির জন্ম বাম আমলেই। অশোকবাবুর ভিত্তিহীন অভিযোগের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’’

ফুলবাড়িতে তোলাবাজি নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল মাস তিনেক আগে। সেপ্টেম্বর মাসে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা ফুলবাড়িতে বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় গিয়েছিলেন। একটি বেকারি সংস্থার কর্তারা স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের অভিযোগ করেন, পণ্য নিয়ে আসার সময়, এমনকী খালি ট্রাক ফেরার সময়েও স্থানীয় দাদাদের তোলা দিতে হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পণ্য সরবরাহকারী বহু সংস্থা ট্রাক পাঠাতে চাইছে না। সঙ্গে রয়েছে নানা অছিলায় চাঁদার নামে তোলা আদায়ের অভিযোগ। প্রতি মাসেই তোলা আদায়কারীরা এলাকার এক ‘দাদা’র নাম করে চাঁদা দাবি করেন। এমন চলতে থাকলে কারখানা উত্তরবঙ্গ থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলেও স্ট্যান্ডিং কমিটিকে জানানো হয়।

ফুলবাড়ির বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক বোল্ডার-সহ নানা পণ্য নিয়ে যাতায়াত করা ট্রাক থেকে টাকা আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে অশোকবাবুর অভিযোগ, ‘‘সীমান্ত বন্দরকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারত। কিন্তু একশ্রেণির ঠিকাদার এবং নেতাদের তোলাবাজিতে সে সম্ভাবনা নষ্ট হতে বসেছে।’’ তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে গৌতমবাবু পাল্টা বলেন, ‘‘শিল্প সংস্থার কোনও সমস্যা থাকলে আমাকেই জানান। তা নিয়ে আলোচনাও করেছি। অন্য কারও চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Standing committee Extortion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE