Advertisement
০৭ মে ২০২৪

মমতা কড়া হতেই নার্সিংহোমে পুলিশ

রোগীর দাবি চিকিৎসক দেখেছেন পাঁচ দিন। নার্সিংহোমের বিলে চাপানো হয়েছে কিন্তু সাত দিনের ভিজিট।কর্তৃপক্ষকে গত দশ মাস ধরে অভিযোগ জানিয়েও ফল মেলেনি। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরে দেখছি-দেখব শুনে যেতে হয়েছে বলেও দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০২:২৬
Share: Save:

রোগীর দাবি চিকিৎসক দেখেছেন পাঁচ দিন। নার্সিংহোমের বিলে চাপানো হয়েছে কিন্তু সাত দিনের ভিজিট।

কর্তৃপক্ষকে গত দশ মাস ধরে অভিযোগ জানিয়েও ফল মেলেনি। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরে দেখছি-দেখব শুনে যেতে হয়েছে বলেও দাবি। সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হওয়ার পরে ঘটনাক্রম বদলে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পুলিশ পৌঁছয় নার্সিংহোমে। পুলিশ পৌঁছতেই ‘ভুল’ স্বীকার করেন কর্তৃপক্ষও। অতিরিক্ত টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছে শিলিগুড়ির সেবক রোডের ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।

গত এপ্রিল মাসে জ্বর এবং পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন জ্যোতিনগরের বাসিন্দা শম্ভু পাল। গত ১৯ এপ্রিল রাতে ভর্তি হওয়ার পরে সাত দিনে প্রায় ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বিল হয় তাঁর। শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় শম্ভুবাবু হায়দরাবাদ চলে যান।

শুক্রবার সাংবাদিকদের শম্ভুবাবু জানিয়েছেন, হায়দরাবাদ থেকে সুস্থ হয়ে আসার পরে মে মাসে তিনি ওই ভুলের কথা নার্সিংহোমকে জানান। শম্ভুবাবু বলেন, ‘‘বারবার অভিযোগ জানানোয় নার্সিংহোম বলে, ওদের নাকি সকলের সঙ্গে সমঝোতা করা আছে, আমরা কিছুই করতে পারব না। গত ডিসেম্বরে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তাতেও কাজ হয়নি। তাই ভাবলাম নার্সিংহোমের কথাই সত্যি।’’

দশ মাস পুরনো সেই অভিযোগ নিয়ে এতদিন টানাপড়েনের পর মোড় ঘুরেছে গত সপ্তাহেই। এ দিন নার্সিংহোমের মেডিক্যাল ডিরেক্টর চিকিৎসক অশোককুমার খন্ডেলওয়াল বলেন, ‘‘অভিযোগের কথা জানতামই না। দু’দিন আগে পুলিশ এল। বিল পরীক্ষা করে একটা ভুল দেখা গিয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’’ কর্তৃপক্ষের দাবি কম্পিউটারে বিল তৈরি করতে পদ্ধতিগত ভাবে ভুল হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও পদক্ষেপ করতে দেরি হল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শম্ভুবাবুর পরিবার। ভক্তিনগর থানা সূত্রের খবর, পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাঠানো হয়। তারপর পুলিশ তদন্তে নামে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’

শম্ভুবাবুর দাবি, ‘‘দেড় লাখের বেশি বিলে খুঁজলে এমন আরও ভুল পাওয়া যেতে পারে। তা ছাড়া, হাজার হাজার রোগীর বিলে অল্প টাকা ভুল হলেও মোট অঙ্ক নেহাত কম হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police Hospitals
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE