E-Paper

সোনার দাম বেশি, চাহিদা ছোট জিনিসের

করোনার জন্য পর-পর দু’বছর ধনতেরসে তেমন ব্যবসা করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। গত বছর ব্যবসা ছিল বেশ ভাল। ‘

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১০:১০
মাল মহকুমার চালসাতে ধনতেরাস এর কেনা কাঁটা। ছবি দীপঙ্কর ঘটক

মাল মহকুমার চালসাতে ধনতেরাস এর কেনা কাঁটা। ছবি দীপঙ্কর ঘটক

দোকানে-দোকানে ভিড়। কেউ কিনছেন সোনা, কেউ রুপো। বাসনপত্রের দোকানেও লোকের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ফলে ধনতেরসে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের ব্যবসায়ীদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে। অলঙ্কার ব্যবসায়ীরা অবশ্য জানিয়েছেন, গত বারের তুলনায় এ বার ভিড় কম। কারণ, সোনার দামবৃদ্ধি। এ দিন দশ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৮ হাজার টাকা। যা অনেকেরই নাগালের বাইরে।

করোনার জন্য পর-পর দু’বছর ধনতেরসে তেমন ব্যবসা করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। গত বছর ব্যবসা ছিল বেশ ভাল। ‘বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতি’র কোচবিহার সদর সভাপতি দিলীপ রায় বলেন, ‘‘গত বারের তুলনায় এ বার ভিড় অনেক কম হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে ব্যবসাও কম হয়েছে। সোনার দাম হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় এমন হয়েছে। সোনার দাম আরও অন্তত ছয়-সাত হাজার টাকা কম থাকলে, ভিড় হত।’’ কোচবিহারে জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সূরজ ঘোষ বলেন, ‘‘সকাল থেকে বেশ কিছু দোকানে ভিড় ছিল। সোনার অলঙ্কারের কিছু দোকানে ভিড় ছিল, কিছু দোকানে তেমন ভিড়
হয়নি। সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কম হয়েছে।’’

ধনতেরস নিয়ে কয়েক বছর আগেও তেমন কোনও উৎসাহ ছিল না বাঙালিদের মধ্যে। তাই আলাদা করে ও দিন তেমন ব্যবসাও হত না। গত কয়েক বছর ধরে অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। ধনতেরসের দিন সোনার দোকানে ভিড় বাড়তে শুরু করে। ধনতেরাসের জন্যে শনিবার থেকেই সোনার দাম বেড়েছে। অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কোচবিহারের বাজারে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৮ হাজার টাকা। তপন রায় নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘এখন এই দিনে কিছু কেনাটা অভ্যাস। গত কয়েক বছর ধরেই কিছু না কিছু কিনছি। সোনার দাম বেড়ে গিয়েছে। তাই অল্প করে কিনেছি।’’ সোনার পাশাপাশি, এ দিন ঝাড়ু ও নুন বিক্রি হয়েছে দেদার।

ধনতেরসের দিন আলিপুরদুয়ার শহরের পাশাপাশি, জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও সোনার দোকানে ভিড় ছিল। একাধিক জায়গায় শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও ব্যবসায়ী সমিতিগুলি সোনার দোকান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। আলিপুরদুয়ার শহরের পাশাপাশি, কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি, বারবিশা, ফালাকাটা-সহ জেলার বিভিন্ন সোনার দোকানগুলিতে বেশি চাহিদা ছিল সোনা এবং রুপোর কয়েনের। এ ছাড়া, বিভিন্ন এলাকায় সোনা এবং রুপোর মূর্তিও বিক্রি হয়। তবে দাম বাড়ায় কম ওজনের জিনিসেরই চাহিদা বেশি ছিল বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kali Puja 2023 Cooch Behar Alipurduar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy