পঞ্জাবের ওয়াঘা সীমান্তের মত শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়িতে সীমান্তে আগামী ১১ মার্চ থেকে চালু হতে চলেছে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যৌথ মহড়া। দুই দেশের তরফেই প্রস্তুতি জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা হয়ে এক প্রতিনিধি দল সীমান্ত পরিদর্শন করেন। তাঁদের সামনে বিএসএফ এবং বিজিবি জওয়ানেরা যৌথ মহড়াও দেন। বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ১১ মার্চ দুপুর ২টা নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে মহড়া চালু হচ্ছে। এর পরে প্রতিদিন বিকাল ৩টায় ওই মহড়া দেখানো হবে।
বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিটি’র সদস্যরা সীমান্তে এসেছিলেন। তাতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তাঁরা সীমান্তের সুরক্ষা ব্যবস্থা, এলাকার গ্রামীণ বৈচিত্র, ইমিগ্রেশন, দুই বাহিনীর চৌকির পরিকাঠামো অবস্থা জানা ছাড়াও যৌথ মহড়ার দেখেন। বিএসএফের ডিআইজি (উত্তরবঙ্গ) জর্জ মানজুরান বলেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরে দুই বাহিনীর অনুশীলন চলছে। ১১ মার্চ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। ধীরে ধীরে বড় আকারে নিয়ে যাওয়া হবে।’’
ইতিমধ্যে যৌথ মহড়়া বা ‘রিট্রিট’কে দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রকল্প তৈরি করছে রাজ্য সরকার। ওয়াঘার মতো গোটা এলাকাকে নতুন করে সাজা ছাড়াও ১ হাজার বাসিন্দার জন্য গ্যালারিও তৈরি হবে। সরকারি সূত্রের খবর, উত্তরকন্যার নকশা যে সংস্থা তৈরি করেছে, তাঁরাই ফুলবাড়ি সীমান্তের পরিকাঠানো সাজার কাজ করছেন। পর্যটন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক গৌতম দেব বলেন, ‘‘সীমান্তের যৌথ মহড়াকে কেন্দ্র করে আমরা একটা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলছি। ধীরে ধীরে তা একেবারেই ওয়াঘার মতো হবে।’’