নিরাপত্তা: রবিবার জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর এলাকায় পুলিশের রুট মার্চ। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ নয়, পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট দু’দশক পরে কে আনল তা নিয়েই চলছে ভোটের প্রচার। আদতে পঞ্চায়েত ভোটের কৃতিত্ব নিয়ে দার্জিলিং, কালিম্পং পাহাড়ে এখন চলছে জোর টানাপড়েন। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান অনীত থাপা জোরদার প্রচার শুরু করেছেন এ নিয়ে। পাল্টা ভোট করানোর‘কারিগর’ দাবি করে ময়দানে নেমে পড়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডও৷ আর তা দেখে গ্রামীণ পাহাড়ের বাসিন্দারা প্রচারে যাওয়া প্রার্থীদের বলছেন, পঞ্চায়েত ভোট এনেছেন ভাল। এ বার কী কী কাজ হবে সেটাই এ বার বলুন নেতারা। গ্রামীণ স্তরে সরকার কী করে তৈরি হবে, তা জানান।
২০০০ সালের পর প্রথমবার পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। এ বারও দ্বিস্তরীয় ভোট হতে চলেছে পাহাড়ে। তবে আগেরবার অবধি দার্জিলিং পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হত। এ বার কালিম্পং নতুন জেলা হওয়ায় সেখানেও ভোট হচ্ছে। দুই জেলা মিলিয়ে১১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৯টি পঞ্চায়েত সমিতির ভোট হতে চলছে। তৃণমূল সঙ্গে থাকলেও প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা কার্যতএকাই ভোটে লড়েছে। সেখানে বিজেপি, জিএনএলএফ, হামরো পার্টি, সিপিআরএম বা জনমুক্তি মোর্চা যৌথ গোর্খা মঞ্চ গড়ে ভোটে লড়াইকরতে নেমেছে।
অনীত থাপা গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে বিভিন্ন ব্লকে ঘুরছেন। ভোটের প্রার্থী চয়ন থেকে মনোনয়ন দাখিল অবধি তিনি বিভিন্ন ব্লকে ঘুরে ঘুরে তদারকি করেছেন। অনীতের কথায়, ‘‘আমরা জিটিএ ভোটে পাহাড়ে পঞ্চায়েতিরাজ কায়েম করব বলেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেছি। দুই দশক পর পঞ্চায়েত ভোট ফিরিয়ে এনেছি। শান্তি, ভোট সব হচ্ছে। এ বার পাহাড়ের সমৃদ্ধির পালা।’’ তিনি জানান, ২০১৭ সালের আগে পাহাড়েরঅবস্থা কী হয়েছিল তা সবাই দেখেছে। সেখান থেকে তাঁরা পরিবর্তন আনছেন। আর ‘সুবিধাবাদী’রা এক জোট হয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসতে চাইছেন বলে তাঁর বক্তব্য।
জিটিএ প্রধানের বিরোধিতায় সরব বিরোধীরাও। হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড দুর্নীতি থেকে দাদাগিরি নিয়ে সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট করানোর অংশীদারিতে নিজেকেও রেখেছেন। অজয় বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ শুধু নয়, স্বজনপোষণ থেকে দুর্নীতিতে পাহাড় ভরেছে। এতদিন ভোট না হওযায় গ্রামীণস্তরে উন্নয়ন, সরকারি সুবিধা পৌছয়নি। আমরা রাজ্য ও কেন্দ্র সব জায়গায় বলেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে গত বছর পঞ্চায়েত ভোট করার জন্য বলা হয়েছিল।’’
সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কেন্দ্র থেকে সরাসরি টাকা আসে। দুই বা আড়াই কোটি ধরলেও পাহাড়েআড়াইশো কোটি টাকা সরাসরি আসবে। বিজেপির চাপের জন্যই ভোটটা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy