নিরাপত্তা: বাগডোগরা বিমানবন্দরের নিজস্ব চিত্র।
সকালে সময় বেড়েছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। বিকালে বেড়েছে আরও দুই ঘণ্টা। উড়ানের সংখ্যাও হয়ে গিয়েছে দ্বিগুণ। ফলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি সিআইএসএফ কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো হল।
চলতি সপ্তাহে দিল্লির অনুমোদনের পর ১৪৭ জনের সঙ্গে নতুন করে কাজে যোগ দিয়েছেন আরও ১৪ জন অফিসার, কর্মী। আপাতত ১৬১ জন জওয়ান ও অফিসার গোটা বিমাবন্দরের নিরাপত্তা সামলাচ্ছেন।
বাহিনীর ডিএসপি মর্যাদার এক অফিসার জানান, এত দিন মোটামুটি বেলা ১২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে বাগডোগরা ১১-১২টি বিমান ওঠানামা করত। এখন তার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২-২৩টি।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত ২৬ মার্চ থেকে দিল্লি-বাগডোগরার মধ্যে একটি বিমান সকাল ৯টায় চালু হয়। তখনই নিরাপত্তার সমস্যা সামনে আসে।
চার দিন চলার পর তা আপাতত বন্ধ রেখেছে বিমান সংস্থাটি। ১০ এপ্রিল থেকে তা ফের চালু হবে। তেমনই, ২০ এপ্রিল থেকে সাড়ে ১১টায় আরেকটি দিল্লির বিমান চালু হচ্ছে। একই ভাবে শেষ উড়ান কলকাতা-বাগডোগরা-দিল্লি বিমান যাবে সন্ধ্যা ছ’টায়। এত দিন সাড়ে চারটেয় যেখানে কাজ শেষ হয়ে যেত বিমানবন্দরের, সেখানে তা বেড়ে যাবে আর দু’ঘণ্টা।
এর ফলে নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যায় টান পড়তে শুরু করে। কারণ, বিমানবন্দর কার্যকর থাকার সময় বেড়ে যাওয়ায় একাধিক শিফট তৈরি করাটা জরুরি হয়ে পড়ে। নিরাপত্তা কর্মীদের শুধু মূল প্রবেশপথ, টার্মিনাল ভবন, সিকিউরিটি হোল্ড এরিয়া দেখভাল করলেই চলে না।
তাঁদের নজর রাখতে হয় ল্যাগেজ, কার্গো, রানওয়ে সংলগ্ন এলাকার উপরেও। পাশাপাশি রয়েছে ডগ স্কোয়াড, সাদা পোশাকের অফিসার মোতায়েন রাখার দায়িত্বও। তাতে ১৪৭ জন লোক দিয়ে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা অবধি নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা সম্ভব হচ্ছিল না।
সিআইএসএফের এক অফিসার জানান, জওয়ানদের ছুটি, অসুস্থতা-সহ নানা বিষয় থাকে।
ফলে কার্যকরী লোকসংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০০-১১০-এ। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই শেষ অবধি দিল্লির কাছে দরবার।
তাতে আপাতত নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা বাড়ল ঠিকই, কিন্তু এর পরে কয়েক মাসের মধ্যে আইএলএস ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে আরও লোক লাগবে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকেও (এএআই) বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঠিক রাখার জন্য যা করণীয় সব হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy