এই স্ট্যান্ডই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছবি: সন্দীপ পাল।
এক তরুণীকে ইভটিজিং ও মারধরের ঘটনার জেরে এ বার জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা৷ জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই ওই ট্যাক্সি স্ট্যান্ডটি কদমতলা এলাকা থেকে তুলে দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি শহরের আরও কয়েকটি এলাকায় গজিয়ে ওঠা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পরিণতিও একই হতে চলেছে৷ বদলে শহরের তিন নম্বর গুমটি এলাকায় কেন্দ্রীয় ভাবে একটি ট্যাক্সি স্ট্যান্ড গড়া হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে৷
জলপাইগুড়ি শহরে বর্তমানে বৌবাজার ও মিউনিসিপ্যালিটি মার্কেটে পুরসভা অনুমোদিত দু’টি ট্যাক্সি স্ট্যান্ড রয়েছে৷ এ ছাড়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ড রয়েছে কদমতলায়৷ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সামনে, ওল্ড ফায়ার ব্রিগেড এলাকা থেকেও কিছু বেসরকারি ছোট গাড়ি ভাড়া হিসাবে চালানো হয়৷ একই ভাবে মিউনিপ্যালিটি মার্কেটের সামনে রাস্তাতেও কিছু গাড়ি থাকে৷ পুরসভা সূত্রের খবর, বৌবাজার ও মিউনিসিপ্যালিটি মার্কেটে থাকা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড দু’টি ছাড়া বাকি সবকটি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডই এ বার শহর থেকে তুলে দেওয়া হবে৷ পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, ‘‘তুলে দেওয়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডগুলিতে যে সব গাড়ি থাকবে তারা চাইলে বৌবাজার, মিউনিসিপালিটি মার্কেট বা তিন নম্বর গুমটিতে তৈরি হতে চলা নতুন স্ট্যান্ডে তাদের গাড়ি রাখতে পারবেন৷’’
ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায় গত বৃহস্পতিবার কদমতলা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সামনেই এক তরুণী ও তার বন্ধুকে মারধর করে এক গাড়ির চালক৷ পুরসভা সূত্রের খবর, তারপর ওই দিন সন্ধ্যাতেই পুরসভায় একটি বৈঠক করেন পুর কর্তারা৷ সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ পুরসভার এক কর্তা জানান, সন্ধ্যার পর কদমতলা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে মাঝে মধ্যেই মদ্যপানের আসর সহ অসামাজিক কাজের অভিযোগ তাদের কাছেও বারবার এসেছে৷ তাই এই সিদ্ধান্ত৷ যদিও মোহনবাবু বলেন, ‘‘তিন নম্বর গুমটিতে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ট্যাক্সি স্ট্যান্ড গড়ার পরিকল্পনা পুরসভা আগেই নিয়েছে৷ এবং তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শহরে যত্র-তত্র গজিয়ে ওঠা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডগুলি তুলে দেওয়া হবে৷ তবে বিষয়টি এবার দ্রুত কার্যকর করা হবে৷’’
এ দিকে কদমতলা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের আইএনিটিটিইউসি পরিচালিত শ্রমিক ইউনিয়ানের নেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘‘কদমতলা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে প্রায় কুড়ি থেকে বাইশটি গাড়ি দাঁড়ায়৷ কিন্তু জায়গা না থাকায় সেই গাড়িগুলি রাখতে খুবই সমস্যা হয়৷ তাই আমরা নিজেরাই পুরসভার কাছে নতুন জায়গার দাবি করি৷ তিন নম্বর গুমটিতে নতুন স্ট্যান্ড হলে ভালই হবে৷ তবে আমাদের স্ট্যান্ডে মদ্যপানের আসর সহ অসমাজিক কাজে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা একেবারে ভিত্তিহীন৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy