Advertisement
০৫ মে ২০২৪
কেন্দ্র-রাজ্য কমিটি

বাগডোগরার জমি জট কাটাতে উদ্যোগ

জমি-জটে বাগডোগরা বিমানবন্দের টার্মিনালের সম্প্রসারণের কাজ যাতে থমকে না যায়, সে জন্য একযোগে আসরে নেমেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২৩
Share: Save:

জমি-জটে বাগডোগরা বিমানবন্দের টার্মিনালের সম্প্রসারণের কাজ যাতে থমকে না যায়, সে জন্য একযোগে আসরে নেমেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি।

মঙ্গলবার ওই কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। সেখানেই ঠিক হয়েছে, টার্মিনাল সম্প্রসারণের জন্য যে ৪৩ একর জমি প্রয়োজন তা আলোচনার মাধ্যমে সংগ্রহ করতে সব পক্ষই দায়িত্ব পালন করবে। সরকারি সূত্রের খবর, যে জমি দরকার তার কিছুটা বায়ুসেনার অধীনে রয়েছে। খানিকটা রয়েছে চা বাগানের আওতায়। কিছুটা জমি রয়েছে সরাসরি রাজ্য সরকারের। বিতর্ক এড়িয়ে কোথা থেকে কতটা জমি পাওয়া যেতে পারে, তা বোঝার চেষ্টা করবে কমিটি। তাতে প্রয়োজনীয় জমি জোগাড় না হলে বাকি জমি কী ভাবে জোগাড় হবে, সেই রূপরেখা তৈরি হবে পরের বৈঠকে।

এ দিন এএআই-চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র বলেন, ‘‘অতীতে ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেমের জন্য জমি জোগাড়ে অনেক সমস্যা হয়েছে। এ বার যাতে কোনও জট না হয়, সে জন্য সব পক্ষ মিলে দ্রুত জমি চিহ্নিত হবে। এক টেবিলে সবাই বসে আলোচনা করলে ফল দ্রুত মেলে।’’ তিনি জানান, এই বিমানবন্দর বছরে ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। এখনই নতুন টার্মিনাল ভবন দরকার। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে জানানো হয়েছে। কলকাতা, গুয়াহাটির ধাঁচে নতুন টার্মিনালটি তৈরি হবে। গত ৯ নভেম্বর কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সচিব, এএআই চেয়ারম্যানের বৈঠক হয়। সেখানেই সব পক্ষকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি হয়।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ভবিষ্যতের সম্প্রসারণের কথা মাথায় রেখে নতুন টার্মিনাল ভবনের জন্য সাধারণত ১০০ একর জমি নেয় এএআই। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার জমি তাদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু, বাগডোগরায় বায়ুসেনা, রাজ্য সরকার ছাড়াও দুই পাশে চা বাগান, ব্যক্তিগত জমি রয়েছে। তাই পুরানো বিমানবন্দর যাওয়ার রাস্তা (বর্তমানে বায়ুসেনার রাস্তা) থেকে বর্তমান টার্মিালের ডানপাশ অবধি কতটা কোথায় জমি মিলবে তাই দেখা শুরু হয়েছে। বাগডোগরায় আপাতত ৪০/৪৫ একরের কথা ভেবেই এএআই এগোচ্ছে। প্রথম ধাপে ৫০০ কোটি টাকার মত খরচ ধরা হয়েছে।

নতুন টার্মিনালটি বর্তমানটির থেকে অন্তত পক্ষে চারগুণ বড় হবে। ২-৩ বছরের মধ্যে তা তৈরি হয়ে যাবে। বছরে ৫০ লক্ষ যাত্রীর কথা ভেবে নকশা হবে। জুন মাসে সিকিমের পাকিয়াং বিমানবন্দরের কাজ শেষের কথাও চেয়ারম্যান জানান। বালুরঘাট, মালদহ, কোচবিহার বা পূর্ণিয়া বিমানবন্দর নিয়ে তিনি জানান, রুট বাছাই নিয়ে টেন্ডার হয়েছে। জানুয়ারিতে তা খুলবে। বিমান সংস্থাগুলি কোথায় কী চাইছে, তখনই পরিষ্কার হবে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bagdogra Airport
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE