Advertisement
০৫ মে ২০২৪

প্রকল্প অর্থ বিলিতে জোর

এ দিনের পর্যালোচনা বৈঠকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ছাড়াও জোর দেওয়া হয়েছিল কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলিতে। সূত্রের খবর, কৃষি দফতর কার্ড বিলির যে হিসেব দিয়েছে এবং যে পদ্ধতির কথা বলেছে, তাতে জেলাশাসক খুশি হতে পারেননি।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:০৪
Share: Save:

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে আসতে পারেন। কথা রয়েছে, সেই সফরে জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন তিনি। তার আগে হাতে থাকা কন্যাশ্রী প্রকল্পের সব টাকা বিলির নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরে প্রশাসনের সব দফতরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় বিকেল পর্যন্ত। বৈঠকে জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও সামাজিক প্রকল্পের টাকা হাতে রেখে দেওয়া যাবে না। যত অল্প টাকাই হোক, উপভোক্তাদের তালিকা ধরে বিলি করে দিতে হবে। কন্যাশ্রী ছাড়াও, কৃষকবন্ধু, পড়ুয়াদের ভাতা, শিক্ষাশ্রী, যুবশ্রী, তফসিলি পড়ুয়াদের বৃত্তি— এই সব প্রকল্পের কথা পৃথক ভাবে উল্লেখ করেছেন জেলাশাসক।

এ দিনের পর্যালোচনা বৈঠকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ছাড়াও জোর দেওয়া হয়েছিল কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলিতে। সূত্রের খবর, কৃষি দফতর কার্ড বিলির যে হিসেব দিয়েছে এবং যে পদ্ধতির কথা বলেছে, তাতে জেলাশাসক খুশি হতে পারেননি। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। কার্ড বিলির সংখ্যাও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২২ অক্টোবর উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রশাসনিক বৈঠক হতে পারে। তার আগে হাতে কাজের জন্য মাত্র দু’দিন রয়েছে। এ দিন জেলাশাসক বলেন, “সব দফতরকেই বলেছি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে টাকা থাকলে, তা এমনই ফেলে রাখা যাবে না। দ্রুত বিলি করে দিতে হবে। এতে উপভোক্তারা উপকৃত হবেন। রাজ্য সরকারের তেমনই নির্দেশ রয়েছে।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন যে প্রকল্পগুলির উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে, সবই মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলির পরিসংখ্যানই প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তলব করে থাকেন। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পরে পিকে-র টিম জেলায় যে সমীক্ষা চালায়, তাতে মূলত এই সামাজিক প্রকল্পগুলি নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল। উপভোক্তারা কত তাড়াতাড়ি প্রকল্পের টাকা পেয়ে থাকেন, টাকা পাওয়ার জন্য কাটমানি দিতে হয় কিনা সে সবও বাসিন্দাদের থেকে জানতে চেয়েছিল পিকে-র টিম। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট কলকাতায় জমা পড়েছে বলেও সূত্রের খবর।

এ দিন প্রশাসনিক সভায় বেশি সময় ধরে এই প্রকল্পগুলি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। উপভোক্তাদের টাকা বিলিতে অযথা দেরি এবং অস্বচ্ছতা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

জেলায় কত রেশন কার্ডের আবেদন হয়েছে, সে পরিসংখ্যানও নিয়েছেন জেলাশাসক। কত কার্ড তৈরি হয়েছে, যে আবেদন বাতিল হয়েছে, সেগুলি কেন বাতিল হয়েছে, তা-ও নির্দিষ্ট ভাবে খাদ্য দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

North Bengal State Government Developmental Project
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE